টানা পাঁচ দিনের প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবান-চট্টগ্রাম-কেরানিরহাট সড়কের কয়েকটি অংশ তলিয়ে যাওয়ায় সারাদেশের সাথে বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সড়কের বাজালিয়া আমতলী অংশের উপর দিয়ে কয়েক ফুট পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া বান্দরবানের সাথে রোয়াংছড়ি, রুমা ও চট্টগ্রামের সাথে জেলার লামা ও আলীকদম উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
বান্দরবানের সাঙ্গু, মাতামুহুরী নদীর পানি এখন বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানের বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জেলা শহরের আর্মি পাড়া, মেম্বার পাড়া, ওয়াবদা ব্রিজ, বালাঘাটা, কালাঘাটাসহ বিভিন্ন এলাকায় নদীর পানি প্রবেশ করায় দেড় সহস্রাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধ্বসের ঘটনা ঘটেছে। তবে এখনো পর্যন্ত ৬ জন আহতের ঘটনা ছাড়া বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, সাতটি উপজেলায় ইতোমধ্যে ১৯২টি অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। জেলা শহরের কয়েকটি স্কুলে লোকজন আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে জেলা প্রশাসন, পৌরসভাসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকে লোকজনদের শুকনো খাবার, খিচুড়ি বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া পাহাড়ের পাদদেশ থেকে লোকজনদের সরে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। জেলা শহরের স্কুলগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পূর্বকোণ/পিআর/এসি