কক্সবাজারের টেকনাফে স্কুলের এক শিশুকে অপহরণের ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন শিশুটির বাবা। রবিবার (৪ জুন) স্কুল থেকে ফেরার পথে ওই শিশুকে অপহরণ করা হয়।
অপহৃত মোহাম্মদ হোছাইন (সূর্য) টেকনাফের হ্নীলার লেদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণির ছাত্র এবং ওই এলাকার সোলতান আহমদের ছেলে।
শিশুর বাবা সোলতান আহমদ বলেন, রবিবার বিকেলে স্কুল থেকে ফেরার সময় আমার ছেলে মোহাম্মদ হোছাইনকে অপহরণ করা হয়। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হালিম বলেন, ওই শিশুর পিতা রাতে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে। তাকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে এ ঘটনার পর স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতেও ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা।
সন্ত্রাসী রোহিঙ্গা কর্তৃক সম্প্রতি অপহরণের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সখ্যতা করে কিছু স্থানীয় দুর্বৃত্তরাও জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। তাই প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ ও যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করার দাবি করেছেন সচেতন মহল।
উখিয়া-টেকনাফ এলাকায় রোহিঙ্গারা নিজে টমটমগাড়ি ও সিএনজি অটোরিকশা চালিয়ে যত্রতত্র দেদারসে ঘুরাঘুরি করছে। এসব গাড়িতে করে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে। তাই রোহিঙ্গাদের হাতে এসব গাড়ি চালানো নিষিদ্ধ করার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ভুক্তভোগীরা।
উল্লেখ্য, ২ জুন লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পাঁচ রোহিঙ্গা যুবককে অপহরণ করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসছে অপহরণকারীরা। মুক্তিপণ না দেয়ায় গত শনিবার রাতে এক যুবকের হাতের কবজি কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়। পরে ওই হাতসহ তাকে ফেরত পাঠায় অভিভাবকের কাছে। মুক্তিপণ না দিলে বাকিদের হত্যা করা হবে বলে পরিবারের কাছে হুমকি প্রদান করেছে।
পূর্বকোণ/কাশেম/জেইউ