চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৪টি বিরল প্রজাতির ধনেশ পাখি উদ্ধার করেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাত ১ টার দিকে গুনাগরী প্রধান সড়কে চেক পোস্ট বসিয়ে সিএনজি অটোরিকশা চালক মো. সেলিমকে আটকের মাধ্যমে ৪টি ধনেশ পাখি উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যমতে কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জারটেক থেকে ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানকে আটক করা হয়।
শুক্রবার (২৬ মে) সকাল ১১টায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। বন্যপ্রাণী ধনেশ পাখি বিক্রয়/পাচারের উদ্দেশ্যে পরিবহন করার অপরাধে বাগেরহাট জেলার সরণখোলা উপজেলার খোন্তকাটা ২ নং ওয়ার্ডের মৃত ফজলুল হকের ছেলে মিজানুর রহমান (৪২) এবং তার সহযোগী চকরিয়া উপজেলার ফাশিয়াখালী ইউনিয়নের দীঘার পানখালী গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক মো. সেলিম (৫২)কে আদালত ৬ মাসের জেল প্রদান করে।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল উদ্দিন জানান, বান্দরবানের লামা থেকে ধনেশ পাখি নিয়ে পাচারকারীরা বাঁশখালী সড়ক হয়ে চট্টগ্রাম যাচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সহকারী পুলিশ সুপার (আনোয়ারা সার্কেল) মো. কামরুল হাসানের নির্দেশনায় ধনেশ পাখি উদ্ধার ও পাচারকারী গ্রেপ্তারের জন্য জলদি, চাম্বল, গুনাগরীতে চেকপোস্ট বসানো হয়।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. কামাল উদ্দিন, রামদাশ হার্ট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. সোলাইমান, বাঁশখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত শুধাংশু শেখর হাওলাদার, বাঁশখালী থানার এসআই রাজীব কুমার পোদ্দার, মো. মাসুদ, এএসআই মো. খালেক, বাঁশখালীর জলদী অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ অভিযানে অংশ নেন।
অফিসার ইনচার্জ কামাল উদ্দিন আরো জানান, উদ্ধারকৃত ধনেশ পাখিগুলো চকরিয়া ইকোপার্ক অথবা চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় পৌঁছানোর ব্যবস্থা চলছে। ধনেশ পাখিগুলোর আনুমানিক মূল্য ১০ লক্ষ টাকা।
পূর্বকোণ/অভি/রাজীব/পারভেজ