চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫

সর্বশেষ:

সন্দ্বীপে অভিযান: দেড় শতাধিক মোটরসাইকেল জব্দ

সন্দ্বীপ সংবাদদাতা

২৯ মার্চ, ২০২৩ | ১১:৫৪ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম জেলা ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ অভিযানে সন্দ্বীপ থেকে দেড় শতাধিক মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। এ সময় লাইসেন্স না থাকায় ১৫টি মামলা ও ৩৪টি রেজিস্ট্রেশনহীন গাড়ি জব্দ করে।

 

বুধবার (২৯ মার্চ) সকাল থেকে চট্টগ্রাম জেলা ট্রাফিক পুলিশ, সন্দ্বীপ থানা ও জেলা ডিবি পুলিশ চারটি দল সন্দ্বীপে অভিযান পরিচালনা করে।

 

চট্টগ্রামের মোটরসাইকেল চোরচক্রের সদস্যদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত রবিবার কোতোয়ালি থানার পুলিশের একটি টিম সন্দ্বীপ অভিযান পরিচালনা করে চোরাই মোটরসাইকেল সন্দেহে ২৪টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে। এরপর থেকে প্রশাসন সন্দ্বীপের চোরাই মোটরসাইকেলের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব এনে চোরাই, রেজিস্ট্রেশন ও লাইসেন্সবিহীন মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে।

 

পূর্ব নির্ধারিত কোন ঘোষণা ছাড়া মোটরসাইকেলের উপর অভিযান পরিচালনা করায় সাধারণ মানুষের মাঝে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। দ্বীপের প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ মোটরসাইকেলে ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করে জীবিকা নির্বাহ করে। দ্বীপের রাস্তাঘাটে সহজ যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে পরিচিত এই মোটরবাইক। তাছাড়া প্রচারণার অভাবে মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিষয়টি অনেক ব্যবহারকারীর কাছে অজানা। হঠাৎ অভিযানে তাদের অনেকের গাড়ি জব্দ হয়েছে। জব্দের ভয়ে অনেকে ঘর থেকে গাড়ি বের করেননি। তবে ট্রাফিক পুলিশ ঘর থেকে এনেও মোটরসাইকেল জব্দ করেছে বলে জানান স্থানীয়রা।

 

মাইটভাঙ্গা ইউনিয়নের মিলন সূত্রধর বলেন, আমরা দুইভাই মোটরসাইকেল দিয়ে যাত্রী পারাপার করে সংসার চালাই। পুলিশ গাড়িটি নিয়ে গেছে। মামলার একটা কাগজ দিয়েছে। এখন কোন উপায় দেখছি না। আগে টানা (ভারত থেকে বর্ডার ক্রস করা) গাড়ি চালাতাম। সেগুলো বেআইনি শুনে এখন শো-রুম থেকে গাড়ি কিনেছি। জানতাম সেল রিসিট থাকলে আর কিছু লাগেনা। আমার গাড়ির সেল রিসিট (ক্রয়ের রসিদ) আছে। এখন শুনি আরো কি কি কাগজ লাগবে, এগুলো আগে শুনিনি।

 

সন্দ্বীপ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রহিম উল্ল্যা জানান, সন্দ্বীপে রেজিস্ট্রেশনবিহীন মোটরসাইকেল চলাচলের কথাটা প্রশাসন অনেক আগে থেকেই জানে। বিআরটিএ এর পক্ষ থেকে সন্দ্বীপে বুথ বসিয়ে রেজিস্ট্রেশনের একটা সুযোগ দিয়ে এরপর অভিযানে গেলে মানুষ আরো সচেতন হতো এবং রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ির সংখ্যাও কমত।

 

চট্টগ্রাম জেলা ট্রাফিক পুলিশের এএসপি মো.ওয়াসিম জানান, নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা চোরাই, রেজিস্ট্রেশন ও লাইসেন্স বিহীন মোটরসাইকেলের উপর অভিযান পরিচালনা করছি। পরিচয়বিহীন এসব মোটরসাইকেল দিয়ে যেকোনো নাশকতা ঘটতে পারে। সর্বমোট ১৫৩টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে এবং লাইসেন্স না থাকায় ১৫ জনকে মামলা দেওয়া হয়েছে।

পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট