বাঁশখালীতে ১১ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের মামলার আসামি শাহাদাত হোসেনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার দিকে চট্টগ্রামের পাহাড়তলীর অলংকার বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামি শাহাদত হোসেন বাঁশখালীর প্রেমাশিয়ার আব্দুল খালেকের ছেলে।
র্যাব-৭ জানায়, ভুক্তভোগীর বয়স ১১ বছর। বাঁশখালীতে সে তার সৎ মায়ের সাথে থাকত। তার বাবা সাগরে মাছ ধরার কাজ করত এবং প্রায় সময়ই ১৫/২০ দিন সাগরে অবস্থান করতো। ভিকটিমের সৎ মায়ের সাথে আসামি মো. আরাফাত এবং শাহাদাতের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বাবা যখন সাগরে মাছ ধরতে যেত তখন আসামিরা প্রায় সময় তাদের বাড়িতে আসত। গতবছরের অক্টোবরের ২-৪ তারিখে ভিকটিমের বাবা যখন মাছ ধরার জন্য সাগরে অবস্থান করছিল সেই সুযোগে আসামি আরাফাত ও শাহাদাত মেয়েটিকে গণধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ২৮ অক্টোবর তার দাদী তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। ভিকটিমকে অসুস্থ অবস্থায় দেখে ভিকটিমের দাদীর সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদে ভিকটিম তখন তার দাদীকে গণধর্ষণের কথা বর্ণনা করে। ভিকটিমের দাদী ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষা করে জানতে পারেন ভিকটিম গর্ভবতী। পরবর্তী ভিকটিমের বাবা বাড়িতে এসে উক্ত ঘটনা জানতে পেরে ৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে।
র্যাব-৭’র সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিড়িয়া) মো. নূরুল আবছার জানান, গণধর্ষণের মামলার পর থেকে অভিযুক্ত আসামিরা পালিয়ে ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামি শাহাদত নগরীর পাহাড়তরীতে অবস্থান করছে জানতে পেরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহাদত ঘটনার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করে। আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
পূর্বকোণ/জেইউ/এএইচ