চট্টগ্রাম শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

দৃশ্যমান ছয় লেনের সংযোগ সড়ক

আনোয়ারা সংবাদদাতা 

১২ মে, ২০২২ | ১:০৮ অপরাহ্ণ

বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পে দ্রুত গতিতে চলছে সংযোগ সড়কের কাজ। কর্ণফুলীর শিকলবাহা ওয়াই জংশন (ক্রসিং) থেকে আনোয়ারা কালাবিবির দিঘি পর্যন্ত ছয় লাইন সড়ক। নির্মাণাধীন এই সড়কের ৪৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ধীরে-ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে সড়ক। বর্তমান সড়কের কারণে দিনের বেশিরভাগ সময় এই সড়কে লেগে থাকে দীর্ঘ যানজট। কেইপিজেডের বিভিন্ন কলকারখানা ছুটি হলে যানজট স্থায়ী হয় ৩/৪ ঘণ্টা পর্যন্ত। সড়ক ও টানেলকে ঘিরে নতুন করে স্বপ্ন দেখছে আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলার মানুষ। সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ হলে বদলে যাবে দক্ষিণ চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা। এই সাড়ে ১১ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে ব্যয় হবে ২৯৫ কোটি টাকা। 

জানা যায়, কর্ণফুলী নদীর দুইপাড়ে চীনের সাংহাই নগরীর আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ হিসেবে গড়ে তুলতে কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সরকার। কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণে আনোয়ারায় রয়েছে কোরিয়ান ইপিজেড, চায়না ইপিজেড, সিইউএফএল, কাফকো ও পারকি সমুদ্র সৈকত। এ টানেল দিয়ে কর্ণফুলী পেরিয়ে আনোয়ারা দিয়ে বান্দরবান, কক্সবাজার, টেকনাফে যাতায়াতের দ্বার উন্মোচিত হবে। পাশাপাশি দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া, বাঁশখালী, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। টানেলের নগর প্রান্তে ৫টি সড়ক দিয়ে টানেলে যাওয়া যাবে। আউটার রিং রোড, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কাঠগড় সড়ক, এয়ারপোর্ট সড়ক এবং পতেঙ্গা বিচ সড়ক দিয়ে টানেলের প্রবেশের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে।

কর্ণফুলীর নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পটির প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। অনুমোদনের প্রায় দুই বছর পর ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। তখন ব্যয় একদফা বাড়িয়ে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আবু হায়দার মো. দিদার বলেন, আনোয়ারা দিয়ে বঙ্গবন্ধু টালেন ও ছয় লেনের সড়ক নির্মিত হচ্ছে। এই সড়ক বাস্তবায়ন হলে ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিরাট পরিবর্তন আসবে।
চাতরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন চৌধুরী সোহেল বলেন, টানেলকে ঘিরে আনোয়ারা উপজেলা শিল্প নগরীতে পরিণত হচ্ছে। ছয় লেন সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে দক্ষিণ চট্টগ্রাম যুক্ত হবে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ব্যবস্থায়।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ দোহাজারীর নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ বলেন, মূল টানেল থেকে প্রায় ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার এপ্রোস সড়ক টানেল কর্তৃপক্ষ করছে। ওই সংযোগ সড়কটি কালাবিবির দিঘি পর্যন্ত আসছে। টানেল থেকে কালাবিবির দিঘি এসে আমাদের মূল সড়কে গাড়িগুলো যুক্ত হবে। আমরা কালাবিবির দিঘি থেকে শিকলবাহা ক্রসিং পর্যন্ত ৬ লেন এবং কালাবিবির দিঘি থেকে আনোয়ারা পর্যন্ত দুই লেনের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করছি টানেলের ব্যবহার শুরুর আগেই আমাদের সড়ক নির্মাণ কাজ শেষ হবে।

পূর্বকোণ/এস 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট