চট্টগ্রাম শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

কারখানার ‘বিষ’ হালদায়

১১ মে, ২০২২ | ১১:০৪ পূর্বাহ্ণ

মোহাম্মদ আলী  

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে ডিম ছাড়বে রুই জাতীয় (রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালিবাউশ) মাছ। এ নিয়ে ডিম সংগ্রহকারীদের সকল প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এর মধ্যে নদীতে দূষণ বন্ধ না হওয়ায় টেনশনে রয়েছেন ডিম সংগ্রহকারীরা। হাটহাজারীর খন্দকিয়া খাল হয়ে প্রতিদিন মদুনাঘাট এলাকায় হালদাতে দূষিত পানি পড়ছে। এতে হুমকিতে পড়েছে রুই জাতীয় মাছের প্রজনন।

হালদার ডিম সংগ্রহকারী হাটহাজারীর মাদার্শা বড়ুয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা আশু বড়ুয়া দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, ‘খন্দকিয়া ও কাটাখালী খাল দিয়ে প্রতিদিন কারখানার বিষাক্ত পানি হালদা নদীতে পড়ছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে একাধিকবার অবহিত করলেও কোনো প্রতিকার মিলছে না। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে হালদাতে রুই জাতীয় মাছের ডিম দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থায় দূষিত পানিপ্রবেশ বন্ধ করা না গেলে হুমকির মুখে পড়ছে মাছের প্রজনন।’

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সিডিএ’র অনন্যা আবাসিকের পাশে বামনশাহী খালে বাঁধের কারণে নগরীর বিশাল এলাকার শিল্প ও আবাসিক বর্জ্য বামনশাহী, কৃষ্ণখালী, কুয়াইশ ও খন্দকিয়া খাল হয়ে সরাসরি হালদায় গিয়ে পড়ছে। তাতে দূষিত হচ্ছে নদীর পানি। এ ব্যাপারে একাধিক অভিযোগের পরও দূষণ বন্ধ করা যাচ্ছে না।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক প্রফেসর ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়া দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, ‘নগরীর বিশাল এলাকার শিল্প ও আবাসিক বর্জ্য বামনশাহী, কৃষ্ণখালী, কুয়াইশ ও খন্দকিয়া খাল হয়ে সরাসরি হালদায় গিয়ে পড়ছে। এতে ভয়াবহ দূষণের শিকার হচ্ছে হালদা। বর্জ্য ছাড়াও বামনশাহী খালের ওপর বাধের কারণে হালদা দূষণের শিকার হয় বেশি। বাধ দেওয়ার আগে শহরের বর্জ্য বামনশাহী খাল হয়ে কর্ণফুলী নদীতে যেতো। কিন্তু শহরের বর্জ্য খন্দকিয়া খাল হয়ে হালদায় পড়ায় দূষণের ভয়াবহতা বেড়ে যায়। এটি দ্রুত বন্ধ না হলে হুমকিতে পড়বে হালদার প্রজনন।’ 

পূর্বকোণ/এস 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট