হাটহাজারীতে মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন নামে একজনের বিরুদ্ধে দুবাই প্রবাসী মোহাম্মদ ওসমান গণির জমি দখলের চেষ্টা এবং ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে।
চাঁদা না পেয়ে নাসির উদ্দীন ওই জমিতে একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকালে নগরীর কাজীর দেউড়িতে লেক-ডাইন রেস্তোরাঁয় প্রবাসী ওসমান গণির পক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ তুলে ধরেন তার নিকটাত্মীয় মো. মনির।
লিখিত বক্তব্যে মো. মনির অভিযোগ করেন- ওসমান গণি কয়েক বছর আগে হাটহাজারীর ফতেপুর ইউনিয়নে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় শূন্য দশমিক ৩ একর জায়গা ক্রয় করেন। এই জমিতে ওসমানের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করে আসছে এবং তিনি এর একমাত্র মালিক।
সম্প্রতি নাসির উদ্দীন বেশ কয়েকবার ফোনে ওসমান গণির কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন বলে অভিযোগ করা হয়। চাঁদা না দিলে ওসমানকে দেশে ফিরতে দেওয়া হবে না, বিমানবন্দর থেকে গুম করা হবে এবং তার স্ত্রী-সন্তানদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয় বলেও সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।
এই হুমকির পরেও চাঁদা না দেওয়ায়, নাসির উদ্দীন কয়েকদিন আগে ফতেপুরে ওসমানের ক্রয়কৃত জমিতে ‘আল নাসের রিয়েল এস্টেট’ নামক প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড টাঙিয়ে জায়গাটি নিজের বলে দাবি করছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, নাসির উদ্দীন পূর্বে স্থানীয়ভাবে প্রভাব খাটিয়ে নিরীহ লোকজনের জায়গা দখল, চাঁদা আদায় এবং কম দামে জায়গা বিক্রি করতে বাধ্য করতেন। গত বছরের আগস্টে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তিনি কিছুদিন আত্মগোপনে ছিলেন এবং পরে এলাকায় ফিরে নিজেকে ভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন বলে দাবি করা হয়। তবে সংবাদ সম্মেলনে তার পূর্বের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কথাও উল্লেখ করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নাসির উদ্দীন ও তার সহযোগীদের ভয়ে প্রবাসী ওসমান গনি দেশে ফিরতে সাহস পাচ্ছেন না। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও নাসির রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয়।
এই পরিস্থিতিতে প্রবাসী ওসমান গণি ও তার পরিবার নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করে সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এবং বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মতিউর রহমান, মো. বাবু শেখ, মো. সোহাগ, মো. রফিক প্রমুখ।