
হতে পারত জয়ের গল্প। অন্তত দারুণ দুই গোল করা হামজা চৌধুরী ও শমিত সোমের জয়টা প্রাপ্য ছিল। জয় না হলেও নিশ্চিত সমতা লেখা হতে পারত। কিন্তু একের পর এক ভুল করে রেহায় পায়নি বাংলাদেশ। ৩-৪ গোলের হার সঙ্গী হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।
বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল ফুটবল স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডে হংকং-এর বিপক্ষে শুরুতে লিড নিয়েছিল বাংলাদেশ। দারুণ এক ফ্রি কিকে গোল করেন প্রিমিয়ার লিগে খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী।
প্রথমার্ধে হংকংকে ওই গোল শোধ করার খুব একটা সুযোগ দেয়নি বাংলাদেশ। বরং লিড বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। তা যেমন কাজে লাগাতে পারেনি। তেমনি ৪৯ মিনিটে কর্ণার থেকে নেওয়া শটে গোল খেয়ে বসে বাংলাদেশ। গোল পোস্ট ছাড়িয়ে গোল লাইন বরাবর থাকা বল বিপদমুক্ত না করে হেড করে ভেতরে পাঠান ফাহিম। একাধিক মাথা ঘুরে ফাঁকায় পেয়ে হংকং বল জালিয়ে পাঠিয়ে ব্যবধান ১-১ করে প্রথমার্ধ শেষ করে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ২-১ গোলের লিড তুলে নেয় হংকং। ম্যাচের ৫০ মিনিটে রাফায়েল মার্কেইস গোল করেন। শেষ পর্যন্ত হ্যাটট্রিক তুলে নেন তিনি। মার্কেইস বলতে গেলে সব কটি গোল উপহারই পেয়েছেন। ৭৫ মিনিটে ফাঁকায় বল পেয়ে ব্যবধান ৩-১ করে ফেলেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধে হাপিয়ে ওঠা বাংলাদেশের হারই সঙ্গী হচ্ছে বলে মনে হচ্ছিল।
শুরুর একাদশে না থাকা জামাল ভূঁইয়া ও কানাডা প্রবাসী শমিত সোম দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে ঢুকে ম্যাচে প্রাণ ফেরান। আক্রমণ তুলতে থাকে বাংলাদেশ। জামাল দারুণ এক বল পাঠান শেখ মোরসালিনকে। ওই সুযোগ হারালেও নাম্বার সেভেন জার্সি পরা মোরসালিন ৮৪ মিনিটে এক গোল শোধ করেন।
গ্যালারিতে উচ্ছ্বাসের জোয়ার তোলা গোলটি আসে কর্ণার থেকে নেওয়া শটে শমিত সোমের হেডে। তিনি দারুণ দক্ষতায় ম্যাচের ৯৯ মিনিটে অর্থাৎ যোগ করা সময়ের নয় মিনিটি বল জালে পাঠান। ৩-৩ গোলে জয়ের সমান সমতায় ম্যাচ তখন শেষের অপেক্ষা।
কিন্তু এক মিনিট বাকি থাকা ম্যাচে গোলরক্ষক মিতুল মার্মার ভুলে হার সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশের। হংকং সেন্টার করার পরই বল বাংলাদেশের অর্ধে পাঠায়। পায়ে বল পেয়েও বক্সে ভুল ব্যাক পাস দেয় বাংলাদেশ। সেখানে থেকে শট নেন মার্সেইস। মিতুলের খুব সহজে তা ফেরাতে পারা উচিত ছিল। কিন্তু তিনি পারেননি। গোল হতেই বিমর্ষ চেহারায় ছলছল চোখে মুচড়ে বসে পড়েন হামজা। মুহূর্তে মিউয়ে যায় গ্যালারি।
পূর্বকোণ/এএইচ