সেই ২০০২ সালের জুনে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল পাকিস্তান। ২২ বছর পর আজ আবার পাকিস্তান দল অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সিরিজ জিতল। সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল।
রবিবার (১০ নভেম্বর) পার্থে অস্ট্রেলিয়ার পেস কন্ডিশন ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে সফরকারি পাকিস্তান। অবশ্য পুরো সিরিজেই দাপট ছিল শাহিন-রউফ-নাসিমদের। তাদের তোপে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মাত্র ১৪০ রানেই অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস গুটিয়ে যায়। যা ৮ উইকেট এবং ২৩.১ ওভার হাতে রেখেই পেরিয়েছে মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল।
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ হলেও অস্ট্রেলিয়া পাঁচ পরিবর্তন নিয়ে একাদশ সাজায়। অভিজ্ঞ তারকা স্টিভেন স্মিথ, মার্নাস লাবুশেন, অধিনায়ক প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজলউড ও মিচেল স্টার্ক খেলেননি ম্যাচটিতে। ফলে জশ ইংলিসের নেতৃত্বে নামা স্বাগতিক শিবিরে অভিজ্ঞদের অভাব ভালোভাবেই টের পাওয়া গেছে।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেই পাকিস্তানি পেসারদের তোপের মুখে পড়ে স্বাগতিক ব্যাটাররা। দলীয় ২০ রানে ফ্রেজার ম্যকগার্ককে (৭) দিয়ে শুরু, এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়েছে। সর্বোচ্চ ৩০ রান করেছেন লোয়ার মিডল অর্ডারে নামা সিন এবট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান আসে ওপেনার ম্যাথু শর্টের ব্যাট থেকে। অস্ট্রেলিয়ার ছয় ব্যাটার দুই অংকেই যেতে পারেননি।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের দুই পেসার শাহিন আফ্রিদি আর নাসিম শাহ ৩টি করে উইকেট নেন। তবে আফ্রিদির খরচ ৮.৫ ওভারে ১ মেডেনসহ ৩২ রান; আর নাসিম শাহ ৯ ওভারে দিয়েছেন ৫৪ রান। গত ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেওয়া হারিস রউফ এদিন নেন ২৪ রানে ২টি। এছাড়া মোহাম্মদ হাসনাইন নিয়েছেন একটি উইকেট।
সহজ টার্গেট তাড়ায় দেখেশুনে শুরু করে পাকিস্তান। ৮৪ রানের ঝলমলে ওপেনিং জুটি উপহার দেন সাইম আইয়ুব (৪২) আর আব্দুল্লাহ শফিক (৩৭)। দু’জনকেই আউট করেন ডানহাতি পেসার ল্যান্স মরিস।
এরপর বাবর আজম আর মোহাম্মদ রিজওয়ানের অবিচ্ছিন্ন ৫৩ বলে ৫৮ রানের জুটিতে ২৬.৫ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। বাবর ৩০ বলে ২৮ আর রিজওয়ান ২৭ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন।
পূর্বকোণ/এমটি