মনিকা চাকমা। আলোচিত এক বাংলাদেশি নারী ফুটবলারের নাম। তার বাড়ি খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা সুমন্ত পাড়ায়। মনিকার নৈপুণ্যে দ্বিতীয়বারের মতো সাফ ফুটবলের শিরোপা অর্জন করে নারী ফুটবল দল; যার ফলে আনন্দে ভাসছে গোটা দেশ। ২০০৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর কৃষক পরিবারে জন্ম নেয়া মনিকা চাকমা এখন সকলের পরিচিত মুখ।
তবে তার উঠে আসার গল্পটা মোটেও সহজ ছিল না। ফুটবল মোটেও পছন্দ ছিল না মনিকার বাবার। তাই বাবার চোখ ফাঁকি দিয়ে চুরি করে ফুটবল খেলতেন তিনি। তার সঙ্গী ছিলেন বড় বোন অনিকা চাকমা।সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে লক্ষ্মীছড়ির মরাচেঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় টিমের হয়ে প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয়ে জেলা পর্যায়ে খেলেন মনিকা চাকমা। পরে জাতীয় পর্যায়ে খেলার ডাক পান অনূর্ধ্ব-১৪ দলে।
দলটি ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত এএফসির টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে তৃতীয় স্থান- ফেয়ার প্লে ট্রফি জিতে। ওই আসরে মনিকা গোল করেছিলেন তিনটি। ২০১৯ সালে বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ নারী আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে গোল করে পরিচিতি পান মধ্যমাঠের খেলোয়াড় মনিকা চাকমা। ফিফা তার এ গোলকে ‘জাদুকরী গোল’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। মনিকা খ্যাতি পান ‘ম্যাজিকেল চাকমা’ হিসেবে।
লক্ষ্মীছড়ির গর্ব দেশের আলোচিত এ নারী ফুটবলারকে নিয়ে তার বাবা বিন্দু কুমার চাকমা বলেন, মেয়ের সাফল্যে আমি গর্বিত। মনিকা শুধু এলাকারই গৌরব উজ্জ্বল করেনি, সারাদেশের গৌরব উজ্জ্বল করেছে।লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান অংগ্য গ্রু মারমা বলেন, অভিনন্দন মনিকা চাকমাকে, অভিনন্দন বাংলাদেশ টিমকে। মনিকা আমাদের লক্ষ্মীছড়ির গর্ব।
পূর্বকোণ/ইব