বিশ্বকাপে টানা ১৪ ম্যাচ হারার পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৯ রানে জিতে জয়ে ফিরলো আফগানরা। ২০১৫ বিশ্বকাপে অভিষেকে এসেছিল একমাত্র জয়, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। তারপর থেকে হার, হার আর হার। সেই বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এলো আফগানিস্তান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে।
রবিবার টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারের জবাবে ব্যাট করতে নেমে রহমানুল্লাহ গুরবাজের ব্যাটিং তাণ্ডবে ২৮৪ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ২২ ওভারের মধ্যে ১১৭ রানে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ৫ উইকেট তুলে নেয় তারা।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে নিয়েই উইকেট পান ফারুকী। নিজের প্রথম বলে জনি বেয়ারস্টোকে (২) এলবিডব্লিউ করেন আফগান পেসার। তারপর দুই স্পিনার মুজিব ও নবী ভেঙে দেন টপ অর্ডার। ১৩ ওভারের মধ্যে তাদের দুজনের শিকার হন জো রুট (১১) ও ডেভিড মালান (৩২)। ৬৮ রানে ৩ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।
একশ রানের মধ্যে প্যাভিলিয়নে ফেরা চতুর্থ ব্যাটার জস বাটলার। নাভিন উল হক তাকে ৯ রানে বোল্ড করেন। রশিদ খানের শিকার হন লিয়াম লিভিংস্টোন (১০)। হ্যারি ব্রুক এই বিপদে একলা হাল ধরেন। উপযুক্ত সঙ্গ পাননি। স্যাম কারান (১০) নবীর বলে রহমত শাহের ক্যাচ হন।
মুজিব টানা দুই ওভারে ক্রিস ওকস ও ব্রুককে ফেরালে ইংল্যান্ডের শেষ প্রতিরোধ থেমে যায়। ব্রুক ইনিংস সেরা ৬৬ রান করে আউট হন। তখনও দল দুইশর ধারেকাছে নেই। ১৬৯ রান করতেই প্যাভিলিয়নে আট ব্যাটার।
মালান ও ব্রুকের গড়া ইনিংসের ৩৫ রানের সর্বোচ্চ জুটি ভাঙার পথে ছিলেন মার্ক উড ও আদিল রশিদ। কিন্তু পারেননি। নবম উইকেটে তারা তোলেন ইনিংসের তৃতীয় সেরা ২৯ রান। রশিদকে (২০) ফেরান রশিদ। কাকতালীয়, দুই ইনিংসেই দুই রশিদ একে অন্যের শিকার হয়েছেন।
উড ও রিচি টপলির জুটিতে দুইশ পার করে ইংল্যান্ড।
ওয়ানডে ইতিহাসে এর আগে দুইবার মুখোমুখি হয়েছিল আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ড, প্রত্যেকবার বিশ্বকাপে। সিডনিতে ২০১৫ সালের হার ৯ উইকেটে, গতবার ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে পরাজয় ১৫০ রানে। এবার তারা ইংলিশদের চমকে দিয়ে ইতিহাস গড়লো।
চলতি আসরে বাংলাদেশ ও ভারতের কাছে হারের পর প্রথমবার ২ পয়েন্ট পেলো আফগানিস্তান। তিন ম্যাচ শেষে সমান পয়েন্ট ইংল্যান্ডেরও। নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তানের কাছে হারে বড় ধাক্কা খেলো তারা।
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ