চট্টগ্রাম শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

আজও কি ‘মরক্কো চমক’

স্পোর্টস ডেস্ক

১৪ ডিসেম্বর, ২০২২ | ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ

কাতার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আজ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে স্বপ্নযাত্রায় উড়তে থাকা আফ্রিকান দল মরক্কো। স্বপ্নের শুরুটা যেভাবে হয়েছিল ঠিক সেভাবেই নিজেদের এগিয়ে নিয়ে ফাইনাল পর্যন্ত যেতে চায় এটলাস সিংহরা।

 

‘জায়ান্ট কিলার’ মরক্কানরা ইতোমধ্যে প্রমাণ করেছে যে, তাদের সামর্থ্য আছে আরেকটি শক্তিশালী দলকে বিদায় করে দেওয়ার। আর তা করতে হলে সবার আগে মনোযোগী হতে হবে এমবাপে-জিরুদ-গ্রিজমানদের সামলানোয়। শেষ চারের এই লড়াইয়ে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে মরক্কোর জমাট রক্ষণের বিপক্ষে ফ্রান্সের ফর্মে থাকা আক্রমণভাগের পারফরম্যান্স। কাতারের আল বায়াত স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় আজ রাত ১টায় শুরু হওয়া রোমাঞ্চকর এই ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে গাজী টিভি ও টি- স্পোর্টস।

 

ছন্দে থাকা ফ্রান্সের আক্রমণ-ত্রয়ীর বিপক্ষে লড়াই করে ফাইনালে ওঠার কাজটা কঠিন হবে মরক্কোর। সর্বোচ্চ গোলস্কোরারের তালিকায় শীর্ষে আছেন কিলিয়ান এমবাপে (৫ গোল)। অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার অলিভিয়ের জিরুদ গোল করেছেন ৪টি, যার মধ্যে রয়েছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোয়ার্টার-ফাইনালের জয়সূচক গোল। এখন পর্যন্ত গোলের দেখা না পেলেও দারুণ খেলছেন ফরোয়ার্ড অঁতোয়ান গ্রিজম্যান।

 

অন্যভাবে দেখলে, ফ্রান্সের জন্যও অপেক্ষা করছে কঠিন চ্যালেঞ্জ। শেষ ষোলো পর্যন্ত আসরে যৌথভাবে সবচেয়ে বেশি গোল করেছিল পর্তুগাল, ১২টি। নকআউট পর্বের প্রথম ধাপে তারা ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল সুইজারল্যান্ডকে। ফার্নান্দো সান্তোসের সেই দলকেই দারুণভাবে বেঁধে রেখে ১-০ গোলের জয় তুলে নেয় মরক্কো। রোমাঞ্চের হাতছানিতে আসছে লড়াইয়ের মাঝেও থাকবে বেশ কিছু লড়াই।

 

এই যেমন, এমবাপে ও মরক্কান রাইট-ব্যাক আশরাফ হাকিমির মধ্যে। পিএসজির এই দুই খেলোয়াড় মাঠের বাইরে ভালো বন্ধু। তবে ফাইনালে যাওয়ার যুদ্ধে দুজনই চাইবেন একে অন্যের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে নিজ নিজ দলকে জেতাতে।

 

ফ্রান্স কোচ দিদিয়ে দেশম মনে করেন, ছোট ছোট বিষয়গুলোই ম্যাচে ব্যবধান গড়ে দেবে। ‘আসরের এই পর্যায়ের লড়াইয়ে ছোট ছোট বিষয়গুলো নির্ধারক হয়ে ওঠে। কেবল মানসম্পন্ন হলেই তা যথেষ্ট নয়। তবে এই স্কোয়াডের মানসিক শক্তি আছে এবং অল্প হলেও অভিজ্ঞতা রয়েছে।’ কাতার ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক অভিবাসী থাকার কারণে বিশ্বকাপে মরক্কোর সমর্থনের কোনো ঘাটতি হচ্ছে না। নিজ দেশের তো বটেই, আফ্রিকা ও আরব দেশগুলো থেকেও অকুণ্ঠ সমর্থন পাচ্ছে দলটি।

 

মরক্কো কোচ ওয়ালিদ রেগারাগির বিশ্বাস, তাদের এই সাফল্য পিছিয়ে থাকা দলগুলোকে একটা বার্তা দিতে পেরেছে। ‘এই বিশ্বকাপে আমরা দেখিয়ে দিচ্ছি যে, প্রতিপক্ষের মতো অনেক বেশি প্রতিভা ও অর্থ না থাকলেও সফল হওয়া যায়।’

 

৬০ বছর আগে সবশেষ ব্রাজিল টানা দুইবার বিশ্বকাপ জিতেছিল। তাদের সেই রেকর্ড ছুঁতে ফ্রান্সের প্রয়োজন আর দুটি জয়। প্রথম বাধা মরক্কো। মরক্কোর জন্য অবশ্য খুব বেশি ভাবনার কিছু নেই। ইতিহাস গড়া দলটির পথচলা সেমিফাইনালে শেষ হলেও দেশে বীরের মর্যাদাই অপেক্ষা করছে তাদের জন্য। ‘হারানোর কিছু নেই’ মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে তাই মরণকামড় বসাতে চাইবে তারা।

 

এবারই প্রথমবার বিশ্বকাপে মুখোমুখি হচ্ছে এই দুই দল। তবে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১১ বার মুখোমুখি হয়েছে এই দুই দল। যেখানে বেশ এগিয়ে আছে ফ্রান্স। এগারো দেখায় ফ্রান্সের জয় আছে ৭ ম্যাচে। ড্র হয়েছে ৩ ম্যাচ এবং মরক্কোর জয় একটিতে।

 

পূর্বকোণ/আর

 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট