চট্টগ্রাম শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

ফিফা বিশ্বকাপের রেফারিদের ঘড়ির দাম সাড়ে ৫ হাজার ডলার

ক্রীড়া ডেস্ক

১৩ ডিসেম্বর, ২০২২ | ২:৩২ অপরাহ্ণ

৯০ মিনিটের খেলায় কখনো কখনো একটা সেকেন্ড হয়ে ওঠে মহাগুরুত্বপূর্ণ। অফসাইড ও এক্সট্রা টাইম (অতিরিক্ত সময়) এবারের বিশ্বকাপে আলোচনার বিষয়। নেপথ্যে রেফারি। অত্যাধুনিক রেফারি। তাই ফুটবল মাঠে ঘড়ির প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। সঙ্গত কারণেই রেফারিরা ঘড়ি হাতে দেন, কিন্তু সেটা শুধু সময় দেখার জন্য নয়। কাতার বিশ্বকাপে রেফারিদের হাতে যে ঘড়ি দেখা যাচ্ছে, তার একেকটির দাম সাড়ে ৫ লাখ টাকাও বেশি।

সময় যত গড়িয়েছে, রেফারিদের ঘড়ি ততই উন্নত হয়েছে। চলমান কাতার বিশ্বকাপে রেফারিরা যে ঘড়ি ব্যবহার করছেন, সেখানে যুক্ত করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি।

 কাতারের মাঠে রেফারির হাতে রয়েছে উন্নত প্রযুক্তির মহার্ঘ ঘড়ি। তা কেবল সময় দেখায় না। এক ঘড়ি অনেক কাজ করে। ফলে দামও আকাশ ছোঁয়া।

কী কী কাজ হয় উন্নত প্রযুক্তির ওই ঘড়ির মাধ্যমে?

এখানেও সুইস ঘড়ির জয়। সুইজারল্যান্ডের সংস্থা হাবলট দীর্ঘদিন হল তৈরি করছে ফিফা রেফারিদের জন্য বিশেষ ধরনের ঘড়ি। ৪৪ মিমি ডায়াল সাধারণত কালো সেরামিক এবং কালো টাইটানিয়ামের। এবারে স্ট্র্যাপে রয়েছে কাতারের পতাকা। সবচেয়ে বড় কথা, এই ঘড়িতে রয়েছে একটি চিপ। তার মাধ্যমে মাঠের বাইরের রেফারি তথা অন্য অফিসিয়ালদের (পরিচালক) সঙ্গে ম্যাচ চলাকালীন যোগাযোগ রাখেন মাঠের ভেতরের রেফারি। চিপের সাহায্যে যাবতীয় তথ্য আদানপ্রদান চলে। অফসাইড, গোললাইন সংক্রান্ত এবং অন্য ম্যাসেজ ভারের রেফারি পাঠালে ঘড়ি কেঁপে (ভাইব্রেট) ওঠে। প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেন রেফারি।

 

এত এত কাজ হওয়া ঘড়ির দাম কত?

সুইটজারল্যান্ডের সংস্থা হাবলট এই ঘড়ির দাম ৫ হাজার ৪৮০ ডলার। হাবলট এমন ১ হাজারটি ঘড়ি তৈরি করেছে এবারের বিশ্বকাপের জন্য। আসলে রেফারি তো ব্যবহার করছেনই। পাশাপাশি কাতারে আসা ভিভিআইপি অতিথিদেরও উপহার দেওয়া হচ্ছে অত্যাধুনিক স্মার্ট ওয়াচ। যা অর্থের বিনিময়েও বাজারে মিলবে না এখন। উল্লেখ্য, চলতি বিশ্বকাপে মোট ১২৯ জন ম্যাচ পরিচালক রয়েছেন। এর মধ্যে ৩৬ জন রেফারি, ৬৯ জন সহকারী রেফারি এবং ২৪ জন ভার রেফারি। সসম্মানে ছ’জন মহিলা রেফারি ম্যাচ পরিচালনা করছেন।

 

এই রেফারিদের জন্যই তো মেসি-রোনাল্ডো-এমবাপে-নেইমার-সুয়ারেজ-লেয়নডস্কির মতো খেলোয়াড়রা নির্বিঘ্নে খেলতে পারছেন। আর গোটা বিশ্বের মানুষ তাদের পায়ের জাদুতে মুগ্ধ হচ্ছেন। এবং কাতারে আকাশে-বাতাসে শোনা যাচ্ছে একটি পরিমার্জিত বাংলা গান- ‘দুনিয়ার সব খেলার সেরা তুমি ফুটবল!’

 

পূর্বকোণ/আর

 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট