গত শনিবার ক্লাব ফুটবলে ৬০০ গোলের মাইলফলকে পা রেখেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। সেদিন সিরি এ’র ম্যাচে ইন্টার মিলানে বিপক্ষে ১ গোল করে অনন্য ওই কীর্তি গড়েন জুভেন্টাসের পর্তুগিজ সুপারস্টার। ব্যাপারটি যেন ভালো লাগছিল না লিওনেল মেসির। তাই ৩ দিনের ব্যবধানেই চিরপ্রতিদ্বন্ধীর ওই কীর্তিতে ভাগ বসালেন তিনি। বুধবার রাতে মেসিও গড়ে ফেললেন ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে ৬০০ গোলের মাইলফলক। ন্যু-ক্যাম্পে লিভারপুলের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমি ফাইনালের প্রথম লেগের আগে মেসি দাঁড়িয়ে ছিলেন ৫৯৮ গোলে। মানে ৩ দিন আগে গড়া রোনালদোর ‘৬০০’ থেকে ২ গোল দূরে ছিলেন তিনি। ২ গোল করেই ৬০০ গোল ক্লাবের সদস্য বনে গেছেন মেসি। প্রথম লেগটিতে লিভারপুলকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। নিজেদের মাঠ ন্যু-ক্যাম্পের এই জয়ে বার্সা এক পা দিয়ে রাখল ফাইনালে। যার বড় কৃতিত্বটা মেসির। ২৬ মিনিটে বার্সেলোনাকে প্রথম এগিয়ে দেন উরুগুইয়ান তারকা লুইস সুয়ারেজ। পরের গল্পটা মেসি-জাদুর। ৭৫ দলের দ্বিতীয় ও নিজের প্রথম গোলটি করেন মেসি। বার্সেলোনাকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি মেসি দাঁড়িয়ে যান ৫৯৯ গোলে। এই গোলটির পরই তাই নড়েচড়ে বসেন মেসি-ভক্তরা। ভক্তদের খুব বেশি সময় অপেক্ষায় রাখেননি মেসি। ৮২ মিনিটেই মোহনীয় এক ফ্রি কিক গোলে অপেক্ষার অবসান ঘটান। ৩০ গত দূরে ফ্রি কিক পায় বার্সেলোনা। মেসির বাঁ-পায়ের বাঁকানো শটটি বাতাসে দোল খেয়ে নাচতে নাচতে পোস্টের ডান কর্নার ঘেঁষে ঢুকে যায় লিভারপুলের জালে। শটটি এতোটাই নিখুঁত ছিল যে, লিভারপুলের ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক আলিসেনর করার কিছুই ছিল না। লাফিয়ে উঠেও দোল খাওয়া বলের নাগাল পাওয়া তার পক্ষে সম্ভব হয়নি। এই ৬০০ গোলের মধ্যে ৪১৭টি গোল তিনি করেছেন স্প্যানিশ লা লিগায়। কোপা ডেল রেতে করেছেন কাঁটায় কাঁটায় ৫০টি। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১১২টি। বাকি ২১টি গোল তিনি করেছেন স্প্যানিশ সুপার কাপ, উয়েফা সুপার কাপ ও বিশ্ব ক্লাব বিশ্বকাপ মিলিয়ে। শনিবারের ৬০০ কীর্তির পর রোনালদো আর মাঠেই নামেননি।