চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

অজিদের বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ের ইতিহাস বাংলাদেশের

স্পোর্টস ডেস্ক

৬ আগস্ট, ২০২১ | ১১:১৯ অপরাহ্ণ

পরিসংখ্যান সবসময় কী আসলটা প্রকাশ করে! কিছুটা হয়তো করে, তবে সবটা নয়। এই যেমন চলতি সফরের আগে টি-টোয়েন্টি বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে দ্বৈরথ বলতে কিছু ছিল না, ছিল শুধু অজিদের আধিপত্য।

এবারও যখন অজিরা ৫ ম্যাচের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ এলো, যতই তাদের সেরা খেলোয়াড়রা না থাক-না কেন, সবার মাঝেই উঁকি দিচ্ছিল সেই চার ম্যাচে টানা হারের স্মৃতি। তবে কি আরো একবার, না-দৃশ্যপটে ইউটার্ণ।

ক্রিকেটের বনেদি বলে কথিত অজিরা প্রথম তিন ম্যাচে টানা হারে সিরিজই খুইয়ে বসেছে। এখানে অজিদের ব্যর্থতা যতটুকু তারচেয়ে বেশি কিন্তু কৃতিত্ব টাইগারদের। সে সুবাদে এই প্রথমবারের মতো অজিদের বিরুদ্ধে কোন সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ।

শুক্রবার (৬ আগস্ট) বৃষ্টিবিঘ্নিত রাতে মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে তৃতীয় ম্যাচে স্বাগতিকরা অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে ১০ রানে। তাতে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে মাহমুদউল্লাহ বাহিনী। সিরিজের চতুর্থ ম্যাজ আজই, একই সময়ে একই ভেন্যুতে।
১২৮ রানের লক্ষ্যে শুরু থেকে মনে হয়নি অজি হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারবে। দ্বিতীয় ওভারে ম্যাথু ওয়েড ফিরে গেলে বাধা হয়ে ছিলেন মিচেল মার্শ ও বেন ম্যাকডারমট। দু’জনে মিলে ৬৩ রান করেন।

ম্যাকডারমটকে বোল্ড করে জুটি ভেঙেছেন সাকিব। অজি এই ব্যাটসম্যান ফেরেন ৩৫ রানে। নতুন নামা ময়সেস হেনরিকস অবশ্য তিন বলই টিকতে পারেন। তাকে শামীমের তালুবন্দি করান শরিফুল। এবার মিচেল মার্শকে ফেরাতে মরিয়া হয়ে উঠে স্বাগতিকরা। তাতে সফলতাও আসে ১৭ ওভার ১ বলে। তাকে নাঈমের তালুবন্দি করেন শরিফুল। তাতে ৪৭ বলে ৫১ রানে ফিরে যান মার্শ।

সিরিজ বাঁচিয়ে রাখার অস্ট্রেলিয়ার স্বপ্ন চূর্ণ হয়ে যায় তখনই। শেষ দিকে অ্যালেক্স ক্যারি (২০) ও ড্যান ক্রিস্টিয়ান মিলে (৭) রানের ব্যবধানই কমান মাত্র। অস্ট্রেলিয়া ৪ উইকেটে করতে পারে ১১৭ রান। ম্যাচে কোন উইকেট না পেলেও দুর্দান্ত বোলিং করেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান খরচ করেন তিনি।

মুলত তারই এই চারটি ওভারই বাংলাদেশ দলকে জয় পেতে মুখ্য ভুমিকা রেখেছে। নাসুম ও সাকিব ১টি করে উইকেট লাভ করেন। শরিফুল ইসলাম নেন জোড়া উইকেট।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করে ৯ উইকেটে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ১২৭ রান। বৃষ্টির হানায় ম্যাচ শুরু হয় সোয়া এক ঘণ্টার পর। শুরুর দিকে ব্যাটসম্যানরা অবশ্য এর যথার্থতা প্রমাণ করতে পারেনি।

পরে সাকিব-মাহমুদউল্লাহর ৪৪ রান, আফিফ-মাহমুদউল্লাহর ২৯ রান ও শেষভাগে মেহেদী-মাহমুদউল্লাহর ৩০ রানের জুটিই ১২৭ রানের স্কোরবোর্ড পেতে সহায়তা করেছে। মূলত একপ্রান্ত আগলে রান যোগানোর চাপ থেকে দলকে উদ্ধার করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদই। ১৪ ইনিংস পর দেখা পেয়েছেন হাফসেঞ্চুরির।

২০১৯ সালে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ হাফসেঞ্চুরি পেয়েছিলেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। ৫৩ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলে ফিরে যান শেষ দিকে। এলিসের বলে ফিরে যাওয়ার আগে তার ইনিংসে ছিল ৪টি চার।

অবশ্য এই অভিষিক্ত এলিসই এর পর তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক! পর পর ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসানকে। তাতে ৯ উইকেটে ১২৭ রানে থামে বাংলাদেশ। ৩৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন অভিষিক্ত পেসার নাথান এলিস। ২টি করে নিয়েছেন জশ হ্যাজেলউড ও অ্যাডাম জাম্পা।

পূর্বকোণ/মামুন/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট