চট্টগ্রাম সোমবার, ২০ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

জরুরিভাবে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের দাবি

নানান সমস্যায় জর্জরিত আদার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

মাসুম খান

১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১:২৯ পূর্বাহ্ণ

লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান ইউনিয়নের আদার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৩ সালে। পাহাড়ের চূড়ায় আলহাজ মতিউর রহমানের দান করা ১০০ শতক জায়গা ঘিরে এই স্কুলের অবস্থান। ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩শ। এর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছে মাত্র চারজন। যেখানে শিক্ষক থাকার কথা সাতজন। এই চারজনের মধ্যে আবার প্রধান শিক্ষকের পদটি দীর্ঘদিন ধরে ভারপ্রাপ্ত। কারো জানা নেই পদটি আসলে কবে আবার ভারমুক্ত হবে। দুটি অফিস কক্ষের বিপরীতে রয়েছে মাত্র একটি অফিস কক্ষ। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য বাথরুম আছে মাত্র দুটি। তাও আবার পানির সংযোগবিহীন। বাথরুম কার্য সম্পাদন করার জন্য পানি আনতে হয় স্কুলের নিচে অবস্থিত নলকূপ থেকে।
স্কুলটির সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে সীমানাহীন প্রাচীর। স্কুলের কার্যক্রম চলাকালীন গরু-ছাগল থেকে শুরু করে স্থানীয় বহিরাগতরা মাঠে প্রবেশ করে থাকে। তাদের আড্ডা চলে স্কুল সীমানায়। এতে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়। তাই অভিভাবকদের মতে, স্কুলের চারপাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করলে তাদের সন্তানদের নিরাপত্তা যেমন নিশ্চিত হবে; তেমনি পড়ালেখার প্রতি মনযোগী হবে শিক্ষার্থীরা।

নানা সমস্যায় জর্জরিত থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষার রেজাল্টে খুব প্রভাব ফেলতে দেয়নি স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। ইউনিয়নের একমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসাবে ২০০৬ সাল থেকে আজও পর্যন্ত সকল পরীক্ষায় শতভাগ পাশের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে সরকার ঘোষিত সকল কর্মসূচি পালন করে বিদ্যালয়টি। ক্রীড়া কার্যক্রমে এগিয়ে যাচ্ছে সমানতালে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইফতেখার আহমেদ বলেন, আমার বিদ্যালয়টি পড়ালেখায় শতভাগ এগিয়ে থাকলেও শিক্ষক সংকটসহ নানান সমস্যায় জর্জরিত। বিশেষ করে বিদ্যালয়টি পাহাড়ের টিলায় হওয়াতে প্রতি বর্ষাতে বিদ্যালয় ভবনের পাশ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। যা সামনের দিনগুলোর জন্য বিপদ সংকেত। এই সংকট কাটাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট স্কুলের চারপাশে দ্রুত সীমানা প্রাচীর নির্মাণের দাবি জানান তিনি।

স্কুল কমিটির দাতা সদস্য ও কলাউজান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি শামসুল ইসলাম সওদাগর বলেন, এ স্কুলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যুৎ ছিল না। এই বছর আমার পদক্ষেপে স্কুলটি বিদ্যুতায়িত হয়েছে। সীমানা প্রাচীর নির্মাণের বিষয়ে তিনি বলেন, সীমানা প্রাচীর নির্মিত হলে বন্ধ হবে বহিরাগতদের প্রবেশ ও আড্ডা। সেসাথে সুরক্ষিত হবে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা। উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মুসলিম উদ্দীন বলেন, শিক্ষক সংকটের বিষয়টা নতুন নিয়োগ হলে আশা করছি সমাধান হবে। তিনি বলেন, অত্র স্কুলের চারপাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদন পেলে শিঘঘিরই সীমানা প্রাচীরের নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট