সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যোগাযোগের এ মাধ্যম আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিবিএসের মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে ২০১৯-এ এই চিত্র উঠে এসেছে। ‘প্রগতির পথে বাংলাদেশ’ শিরোনামে সম্প্রতি বিবিএস এই সমীক্ষার সারসংক্ষেপ প্রকাশ করেছে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টর (এসডিজি) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এমন বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের জন্য বৃহত পরিসরে ইউনিসেফের সহায়তায় বিবিএস এবারের জরিপটি করেছে। বিবিএস সংশ্লিষ্টরা জানান, মূলত নারী ও শিশু সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক সর্বশেষ তথ্য এই জরিপের মাধ্যমে উঠে এসেছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরের সঙ্গে কিছু তথ্য তুলনা করা হয়েছে। যেমন, সেসময়ে বিদ্যুত সুবিধার আওতায় ৬১ দশমিক ৫ শতাংশ থাকলেও এই হার এখন ৯২ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সিদের মধ্যে শিক্ষার হার ৮২ শতাংশ থেকে বেড়ে ৮৮ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। দেশে অর্ধেক পরিবারে টেলিভিশন ব্যবহার করছে। ছয় বছর আগেও ৩৮ শতাংশ পরিবারে টেলিভিশন ছিল। তবে রেডিওর ব্যবহার অনেক কমে গেছে। ২০১২-১৩ সালের দিকে গড়ে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে রেডিও থাকলে এখন এই হার শূন্য দশমিক ৬ শতাংশে নেমে গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত মোবাইল ফোনে এবং ইন্টারনেটে রেডিও শোনার সুযোগ থাকায় আলাদা করে রেডিও ব্যবহার দেশে কমে গেছে। তাছাড়া বিনোদনের মাধ্যমও পরিবর্তন হচ্ছে। ইউটিউব, ফেসবুকসহ নানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিনোদনের ব্যবস্থা থাকায় রেডিওর গুরুত্ব কমে গেছে। বিবিএসের সমীক্ষায় দেশে মোবাইল ব্যবহারে উন্নতি লক্ষ্য করা গেলেও দেশে ক¤িপউটারের ব্যবহার খুব বেশি বাড়েনি।