শিশুকালের তেমন কিছু মনে থাকে না। কিশোর বয়সের অনেক কিছু মনে থেকে যায়। শৈশবে পিতা-মাতা যেভাবে বলে শিশুরা সেভাবে চলে। কৈশরে সেভাবে আর চলে না। কিশোরেরা নিজেদের মত করে চলতে চায়। মা-বাবার সব কথা শুনতে চায় না।
নিজেদের একটা জগৎ তৈরি হয়। স্কুলের সহপাঠীদের নিয়ে কিংবা পাড়া প্রতিবেশির সমবয়সীদের নিয়ে। স্কুলের সহপাঠিদের সাথে লেখাপড়ার আলাপ ছাড়া খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড নিয়ে সময় কাটে। অনেকে পাড়ার সমবয়সীদের সাথে খেলাধূলা করে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয় নিয়েও সম্পৃক্ত হয়। এসব বিষয়গুলো তারা তেমন একটা বুঝে না। খেলতে খেলতে খেলার সাথী হয়ে যায়। কবিতা আবৃত্তি, ছবি আঁকা, গান-বাজনা, নাটক এসবেও কোন কোন কিশোর আগ্রহী হয়ে উঠে। বিয়ে শাদী আকিকার মত অনেক অনুষ্ঠানে কিশোরদের আনন্দ মেতে থাকতে দেখা যায়। নানা আয়োজনে সম্পৃক্ত হয়ে তারা নিজেদের প্রয়োজনীয় করে তোলে। আত্মীয়স্বজন পাড়া প্রতিবেশির কাছে এদের উপস্থিতি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। তারাও ভাবতে থাকে তাদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠান অনেক সুন্দর হয়ে উঠে।
এলাকার বা পাড়ার কিশোরেরা দলবদ্ধ হয়ে ক্লাব বা সংঘ গড়ে তোলে। নাম রাখে কিশোর সংঘ, বা ইয়ং স্টার ক্লাব। বড়দের আলাদা ক্লাব আছে, নাম হয়ত শতদল ক্লাব বা বয়েজ ক্লাব। এসব ক্লাবে কিশোরেরা যেতে চায় না। তারা নিজেরা নিজেদের মত ক্লাব গড়ে তোলে। যেখানে কিশোরদের ইচ্ছা আশা আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। বয়সটাই এরকম। তারা নিজেদের বালক ভাবতে চায় না। শিশুদেরতো কাছে ঘেষতে দেয় না। আবার বড়দের কাছেও তারা যেতে পারে না। বড়রা তাদেরকে তেমন গুরুত্ব দিতে চায় না। কেউ তাদেরকে ছোট মনে করুক কিংবা অবহেলা করুক এটা কখনো মেনে নিতে পারে না। এজন্য দূরে দূরে থাকে। নিজেদের মধ্যে ঝগড়া ঝাটি যা হোক আবার মিলেমিশে যায়। মান অভিমানও কম হয় না। তারপরও তারা একসূত্রে আবদ্ধ থাকে। পাড়ায় পাড়ায় বিভিন্ন এরাকায় কিশোর সংঘ গড়ে উঠে। খেলাধূলার পাশাপাশি নানাধরনের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে।
কিশোরেরা সাধারণত দুরন্ত হয়। দুরন্তপনায় তাদের স্বভাব। কোন কোন সময় চঞ্চলতা আর অস্থিরতা তাদের পেয়ে বসে। ভেবেচিন্তে কোন কিছু করতে চায় না। মন যা যা তা করতে চেষ্টা করে। মাথায় যা আসে তা করে ফেলতে চায়। হুট করে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। বন্ধু-বান্ধব বা সহপাঠিদের নিয়ে হৈ চৈ করে শেষ করতে চেষ্টা করে। তবে কোন কিছু করতে চাইলে একেক জন একেক বুদ্ধি দেয়। সবার বুদ্ধিকে এক জায়গায় এনে একটা নতুন কিছু করতে চায়। কখনো চুপচাপ বসে থাকতে পারে না। একটা না একটা কিছুতে মেতে থাকতে চায়। আবার দীর্ঘদিন ধরে একটা কিছুতেই লেগে থাকতে চায় না। তাড়াতাড়ি ফল পেতে চায়। অপেক্ষায় অধৈর্য হয়ে যায়, অস্থির হয়ে পড়ে। দুরন্তপনার ভেতর দিয়ে সবকিছুকে দেখতে চায়। তবে কখনো বাড়াবাড়িতে যায় না।
অনেকে তাদের এ দুরন্তপনাকে পছন্দ করে। তারাও এটা বুঝতে পারে। তাই তারা বড়দের কাছে নানা আবদার ধরে। সহজে অনেক কিছু পেয়ে যায়। এক এলাকার কিশোর ক্লাবের সাথে অন্য এলাকার কিশোর সংঘের খেলা হয়। ফুটবল ও বলিবল খেলা আবার কখনো হা-ডু-ডু খেলা। দুই দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে, হারিজিতের প্রতিযোগিতা। কোন দলের চেয়ে কোন দল কম না। খেলা হয় সমানে সমানে। কোন পক্ষকে সহজে হার মানাতে পারে না। ফুটবল খেলার মাঠের চারিদিকে লোকজন দাঁড়িয়ে খেলা দেখে। পাড়ার লোকজন কিশোর দলের খেলায় পক্ষ নিয়ে তাদের আনন্দ উৎসাহ যোগায়। কোন কোন সময় বল গোল পোস্টের কাছাকাছি গেলে গোল গোল করে চিৎকার উঠে। খেলোয়াড়দের মনোবল তখন আরো বেড়ে যায়। দুই পক্ষই গোল দেয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগে। খেলার মাঝে কেমন যেন টান টান উত্তেজনা দেখা দেয়। কোন পক্ষ গোলা একটা করতে পারলে আর কথা নেই। খেলায় উত্তেজনা আরো বেড়ে যায়। অন্য পক্ষ তখন মরিয়া হয়ে উঠে। কত তাড়াতাড়ি গোল শোধ করা যায় সে চেষ্টাই করতে থাকে।
খেলায় হারজিৎ আছে। যে দল জিতে যায় তাদের বিজয় উল্লাসের শেষ নেই। আর যারা হেরে যায়। তারা যেন অনেকটা ম্লানমুখে বাড়ি ফিরে। বিজয়ী দলকে হাতে কাপ বা শীল্ড তুলে দেয়া হয়। এগার জনের দলের সাথে ক্লাবের অন্যরা মিলে বিজয়ের আনন্দে স্লোগান দিতে দিতে এলাকায় ফিরে আসার পথে রাস্তায় ঘাটে গণ্যমান্য যাদের দেখা হয় তাদের দিকে শীল্ড বাড়িয়ে দিয়ে সম্মানী আদায় করে নেয়। অনেকে স্বইচ্ছায় দেয় আবার কেউ কেউ লজ্জায় পড়ে গিয়ে দেয়। বাজারের দোকানীরাও তাদের হাতে কিছু কিছু না তুলে দেয়। এরা কোথাও চায় না, স্বেচ্ছায় খুশীতে যে যা দেয় এতে আনন্দে মেতে উঠে। তাদের উদ্দেশ্য টাকা তোলা নয়, তাদের দল যে খেলার জিতেছে তা সবাইকে দেখানো। পাড়ায় পাড়ায় কিশোর ক্লাবগুলো কিশোরদের এক সূত্রে গেথে রাখে। খেলাধূলার মধ্য দিয়ে একটা ভাল সময় কাটায়। একজন আরেক জনের সান্নিধ্যে যাওয়ার সুযোগ পায়।
এলাকায় বা পাড়ায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হলে কিশোরেরা অতি উৎসাহী হয়ে পড়ে। তাদের কেউ কেউ গান বাজনা করে কেউ কবিতা আবৃত্তি করে চমক লাগিয়ে দেয়। আবার কেউ ছবি একে নাম কুড়ায়। চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতা হয়। পাড়ায় নাটক মঞ্চস্থ হলে সেখানেও অংশ নেয়। কিশোর বালকের চরিত্রে অভিনয় করে সবার দৃষ্টি কেড়ে নেয়। এক সময়ে গ্রামে নাটকে অভিনয়ের জন্য মেয়ে খুঁজে পাওয়া যেতো না। পাড়ার কোন মেয়ে অভিনয়ের জন্য আসতে পারতো না। তখন কিশোর বালকেরা মেয়েদের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের প্রশংসা কুড়াতো। একটা নাটক এক-দেড় মাস রিয়ার্সাল করে তারপর মঞ্চস্থ হতো। নাটকের সাথে সাথে পালাগানের আসরও বসতো। কিশোর সংঘগুলো এসবের সাথে কোন না কোনভাবে যুক্ত হয়ে পড়তো। এতে করে কিশোরেরা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ত করার সুযোগ পেতো। নিজেদের ভাল সময় কাটতো।
এখন কিশোরদের কোন দল নেই, ক্লাব নেই, সংঘও নেই। এমনকি কোন সংগঠনও নেই। কিশোরেরা সময় কাটায় কিভাবে? পঞ্চাশ থেকে ষাট ভাগ কিশোর স্কুলে যায়। বিশ থেকে পঁচিশ ভাগ কিশোর কোন না কোন কাজে যুক্ত হয়ে যায়। আর পনের বিশ ভাগ কিশোর বেকার ভবঘুরে এখানে সেখানে ঘুরে বেড়ায়। যারা স্কুলে যায় তারা সারাদিন স্কুলে থাকে না। দিনের একটা সময় তাদের স্কুলে কাটে। স্কুল আবার অনেক দিন বন্ধও থাকে। সবাই কি লেখাপড়া করে? তাহলে লেখাপড়ার মান এত নিচে নেমে আসতো না। আসলে বেশির ভাগ কিশোর মোবাইলে সময় কাটায়। খেলাধূলা নেই, সাংস্কৃতিক চর্চা নেই। ছুটির পর স্কুলের গেট বন্ধ হয়ে যায়। মাঠে ঢোকার কোন সুযোগ থাকে না। আবার অনেক স্কুলের মাঠও নেই। এরা কোথায় খেলবে? কার সাথে গিয়ে মিলিত হবে। বাবা মা আর শিক্ষকেরা লেখাপড়া ছাড়া আর কিছু চায় না। প্রধান শিক্ষক গেইট খুলে দিতে ভয় পায়। খেলাধূলা করতে গিয়ে ছেলেরা যদি মারপিট করে তখন কে সামলাবে। একটা কিছু হলে থানা পুলিশ হয়ে যায়। ছাত্রদের একটু কড়াকড়ি করলে গার্ডিয়ানেরা অসন্তোষ হয়। প্রধান শিক্ষককে নানা রকম জবাবদিহি করতে হয়। কিশোর বয়সে লেখাপড়ার সাথে শরীর আর মনের গঠন যে কত গুরুত্বপূর্ণ তা নিয়ে কেউ ভাবে না।
কিশোর বয়সটা এমন তারা চুপচাপ বসে থাকতে পারে না। একদিকে না একদিকে ছুটে যায়। তাদের সহজে আবদ্ধ রাখা যায় না। তাদের মান অভিমানও বেশি। অল্পতেই রাগ করে। অভিমান বা রাগ ভাঙ্গতে আবার দেরী হয় না। শিশুরা যেমন ঘরমুখী কিশোরেরা কিছুটা ব্যতিক্রম। তারা বাইরে যেতে চায়। ঘুরাঘুরি করতে চায়। কিন্তু সে ক্ষেত্রটা এখন আর খুঁজে পায় না। দল বেঁধে সাঁতার কাটা, মাঠে খেলাধূলা করা এসব তো এখন নেই বললে চলে। তাহলে কিশোরেরা কোথায় যাবে? ভালোর দিকে যেতে না পারলে মন্দের দিকে পা বাড়ায়। তারা এখনো ভাল মন্দ সে অর্থে বুঝে উঠতে পারে না। কোন কোন কিশোরের মধ্যে এক ধরনের হতাশা জন্ম নেয়। কারো মধ্যে আবার কৌতুহল দেখা যায়। কেউ কেউ ধুম পানে আগ্রহী হয়। ধীরে ধীরে কেউ হালকা নেশার দিকে ঝুঁকে পড়ে। মাদক সেবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। পরিবারের অজান্তে এসব শুরু করে। কিন্তু এক সময়ে সে আর নেশা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না। হতাশা আর নেশা তাকে আচ্ছন্ন করে ফেলে। এসব কিশোর বালকের দুরন্তপনা, আশা-আকাক্সক্ষা কোথায় যেন হারিয়ে যায়। কেমন যেন ঝিমিয়ে পড়ে। এমনকি লেখাপড়ার প্রতিও আগ্রহ থাকে না। কেউ কেউ ছিনতাই এর মতো অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়ে। আর সহজে ফেরানো যায় না।
ইদানিং কোথাও কোথাও কিশোর গ্যাং এর নাম শোনা যায়। কিশোরদের দৌরাত্মে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠে। কোন কোন এলাকায় দশ বার জন কিশোর মিলে এক একটি গ্যাং তৈরি করে। কোথাও কোথাও সংখ্যাটা দশ পনের জন, এমনকি বিশ-বাইশ জনও হয়ে যায়। কিশোর গ্যাং এর ছেলেরা কাউকে সমীহ করে না। বেপরোয়া চলাফেরা করে, মারপিঠ করে, হাঙ্গামা, চাঁদাবাজির সাথে যুক্ত হয়ে যায়। নেশাজাত দ্রব্য মাদক আদান প্রদানে সহায়তা করে। কিশোর গ্যাং এর অনেকে অপরাধ জগতের দিকে পা বাড়ায়। চোরাচালান আর মাদক ব্যবসায়ীরা কিশোর গ্যাং এর সদস্যদের কাজে লাগায়। গডফাদাররা কিলিং বা মর্ডারে এসব কিশোর বালকদের ব্যবহার করে থাকে। ফলে এরা আর ঐ অন্ধকার জগৎ থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না।
পত্র-পত্রিকা আর ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কিশোর গ্যাং এর অপরাধের খবরাখবর ফলাও করে প্রচার করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায়ও এসব খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কিশোরদের পিতামাতা উদ্বিগ্ন হয়। কিশোর বয়সীদের মনো জগতে বৈরী প্রভাব পড়ে যায়। সাধারণ মানুষের কাছে কিশোরদের সম্পর্কে বিরূপ ধারণা তৈরি হয়। কোন কোন কিশোরের আলোক উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ যেন অন্ধকারে ঢাকা পড়ে। অথচ কোন কোন এলাকায় কয়েকজন কিশোর মিলে এ কিশোর গ্যাং গঠন করে। এতে পুরো এলাকার কিশোরদের ভাবমূর্তি ম্লান হয়। কিশোরদের স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা, অবাধে ঘুরে বেড়ানো, মুক্ত বিহঙ্গের মত বিচরণে বাধাগ্রস্ত হয়। সাধারণের মাঝে কিশোরদের নিয়ে নানা ধরনের আলাপ আলোচনা হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরা হয়। এসব সমালোচনা কিশোরদের স্বতঃস্ফূর্ততা ক্ষুণ্ন করে। কিশোরদের আগামীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। কিছুটা বাধা বিপত্তির সম্মুখীন করে। কিশোরেরা কোন কোন ক্ষেত্রে বিভ্রান্তিতে পড়ে যায়। সঠিক পথ খুঁজে পেতে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে যায়।
কিশোরেরাই দেশের ভবিষ্যৎ নাগরিক। কিশোরদের যদি সঠিকভাবে গড়ে তোলা না হয় ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ছেয়ে যাবে। এদের ভেতর থেকে নেতৃত্ব গড়ে উঠবে। সমাজ দেশ ও জাতীর নেতৃত্ব এক সময়ে তাদের হাতে পড়বে। কিশোরদের গড়ে তোলার দায়িত্ব শুধু পিতামাতার নয়, সমাজের সবার, রাষ্ট্রেরও। উন্মুক্ত পরিবেশে কিশোররা যেভাবে গড়ে উঠে, যেভাবে তাদের মনের বিকাশ ঘটে, আবদ্ধ পরিবেশে তা কখনো হয় না। স্কুলগামী কিশোরদের লেখাপড়ার সাথে নিয়ম শৃঙ্খলাও শিখানো হয়। কিন্তু তাদের মাঝে সামাজিকতা, মানবিকতা বা দেশপ্রেম জাগ্রত হয় না। মূল্যবোধের জায়গাটাও উপেক্ষিত থেকে যায়। এজন্য স্কুল শিক্ষায় এসব বিষয়ে অধিক যত্নবান হওয়া উচিৎ। যেসব কিশোরা স্কুলমুখী না বা ঝরে পড়ে কিংবা স্কুলে যেতে পারে না তাদেরকে কোন না কোন ভাল কিছুর সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে। তা না হলে তারা বিপথে যাবে। তাদের সাথে অন্যরাও পা বাড়াবে। কিশোর গ্যাং বা অন্য যে কোন অপরাধের সাথে যুক্ত হওয়ার আগে ব্যবস্থা নিতে হবে। গ্যাং গড়ে উঠা বা সক্রিয় হওয়ার আগে ভেঙ্গে দিতে হবে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। একই সাথে সমাজের সচেতন নাগরিকদের এগিয়ে আসতে হবে। কিশোরদের খেলাধূলার মাঠ ফিরিয়ে দিতে হবে। তাদেরকে আবার সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সুযোগ করে দিতে হবে। তাদের মনে মানবিকতা ও দেশ প্রেমের আলো জ্বালাতে হবে। তাহলে কিশোরা আবার কিশোর আলোয় ফিরে আসবে।
লেখক: নাসের রহমান, কথাসাহিত্যিক ও ব্যাংকনির্বাহী।
পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ