রংপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৪ জন। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে দুর্ঘটনায় হতাহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, রংপুর নগরীর সাতমাথা চায়না হল এলাকায় কুড়িগ্রামগামী একটি বাস ও তিন চাকার মাহেন্দ্রার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন। এতে আহত হয়েছেন আরও চারজন। আহতদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রংপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মাসুদ আলম জানান, মূলত ঘন কুয়াশার কারণে এই দুর্ঘটনা। মাহেন্দ্রাকে চাপা মেরে বাসটি চলে গেছে। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। তবে এখনও তাদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে, পীরগঞ্জে দুই বাসের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন ২০ যাত্রী। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের বড়দরগাহ হাইওয়ে ফাঁড়ি থানার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কুড়িগ্রামগামী সাদিকা তালুকদার পরিবহনের একটি বাস যাত্রী নামাচ্ছিল। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রংপুর এক্সপ্রেসের একটি বাস সাদিকা তালুকদার পরিবহনের বাসের পেছনে জোরে ধাক্কা দেয়।
এতে রংপুর এক্সপ্রেসের সামনে এবং সাদিকা তালুকদার পরিবহনের পেছনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। ফলে ২০ জন আহত হন। গুরুতর অবস্থায় ৬-৭ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা যান।
পুলিশ ফাঁড়ির ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, জনসাধারণ, পুলিশ সদস্য ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা উদ্ধার কাজ চালান। বাস দুটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
এছাড়া রংপুরের নজিরের হাট এলাকায় বাসের ধাক্কায় আরও এক পথচারী নিহত হন। তারও নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
পূর্বকোণ/মাহমুদ