রেলওয়ের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির ফলে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা থেকে সারাদেশে বন্ধ হতে পারে ট্রেন চলাচল। মূল বেতনের সঙ্গে রানিং এলাউন্স যোগ করে পেনশন প্রদান এবং আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে জটিলতা নিরসন না হওয়ায় এ কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতি।

সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান বলেন, আমরা ২৭ জানুয়ারি দিবাগত রাত অর্থাৎ ২৮ জানুয়ারির প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ট্রেন চালানো বন্ধ রাখব। ট্রেন চালানো বন্ধের বিষয় থেকে সরে আসতে গেলে অর্থ মন্ত্রণালয়কে স্পষ্টীকরণ চিঠি দিতে হবে। রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে স্পষ্টীকরণ চিঠি দিলে হবে না।

তিনি বলেন, এটা নতুন কোন বিষয় নয়, এটা ১৬০ বছর ধরে চলে আসছে। ১৬০ বছর ধরে চলে আসা একটা নিয়ম হুট করে বন্ধ করে দেবে, এটা তো রেলের কোন স্টাফ মেনে নিতে পারে না। আমরা বারবার সময় দিয়েছি, বারবার আন্দোলন করেছি, বারবার প্রত্যাহার করেছি। কিন্তু এবার আর কোন কিছু করার সুযোগ নেই।

তিনি আরও বলেন, আমাদের মোট ২ হাজার ৩৬ জন রানিং স্টাফ থাকার কথা। কিন্তু সেখানে বর্তমানে আছে এক হাজার ৩৬ জন। ট্রেনের সময়সূচি ধরে রাখতে গেলে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের একজনকে দু’জনের চাকরি করতে হয়। ফলে আমার এখানে মাইলেজের টাকা তো বেশিই হবে। এ টাকা তো আমাকে কষ্ট করে নিতে হয়।

মজিবুর রহমান বলেন, গত ১ থেকে ৯ ডিসেম্বর যখন আমরা আইনগতভাবে চাকরি করলাম তখন কিন্তু ট্রেনের সব শিডিউল ওলটপালট হয়ে গেল। অনেক ট্রেনের কিন্তু যাত্রাও বাতিল করেছে। কারণ তখন আমরা একজনের ডিউটি একজনেই করেছি।

কর্মসূচির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, রেলওয়ের কর্মকর্তারা আমাদের ডাকলেন। তারপর ৯ ডিসেম্বর আমরা কর্মসূচি স্থগিত করলাম। তারা আমাদের কাছে ১০ দিন সময় চেয়েছিলেন। আমরা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছি। কিন্তু তারা কিছু করতে পারলেন না। পরে ১ জানুয়ারি আমরা জানিয়ে দিলাম, আমরা ২৮ জানুয়ারি থেকে ট্রেন চালাবো না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম বলেন, তাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। তারা আন্দোলনে না যাক, সেটা আমরা চাই।

পূর্বকোণ/মাহমুদ