কুড়িগ্রামের বড়াইবাড়ি যুদ্ধের প্রতিশোধ নিতেই পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে কুড়িগ্রামের সরকারি কলেজ মাঠে জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, উন্নয়নের নামে আওয়ামী লীগ ২৬ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে। সেই ফ্যাসিস্টদের আশ্রয় বাংলার মাটিতে হবে না। সব হত্যার বিচার চাই। মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে।

তিনি বলেন ১৯৭২ সাল থেকে আজ পর্যন্ত যারা লুটপাট করেছে, ইজ্জতে হাত দিয়েছে, এই দুষ্কৃতিকারীদের তালিকা করে প্রকাশ করে দেয়া হোক। আমি অপরাধী হলে আমার নামও প্রকাশ করা হোক। বাংলাদেশের মানুষ জানুক এরা কারা।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সব জায়গায় অমুসলিম ভাইদের ঘর-বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগে আওয়ামী লীগ জড়িত ছিল। কিন্তু সবার আগে নাম আসে জামায়াতের। আমরা আল্লাহকে ভয় করি। যারা আল্লাহকে ভয় করে তাদের হাতে মানুষের জীবন, সম্পদ এবং ইজ্জত সম্পূর্ণ নিরাপদ। তার প্রমাণ বর্তমান বাংলাদেশ। তাই সত্যের পথে দেশ গড়ার জন্য জামায়াতের পাশে থাকার আহ্বান জানান তিনি।

জামায়াত আমির বলেন, আওয়ামী লীগ বলেছিল, কোনদিন যদি তাদের ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হয়, তাহলে তাদের পাঁচ লাখ নেতাকর্মীকে আমরা খুন করবো। তাদের নেতৃবৃন্দের দফায় দফায় মিথ্যাচার বাস্তবায়িত হয়নি। পাঁচ লাখ মানুষ মারা যায়নি। এদেশের মানুষ দেশকে ভালোবেসে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে। খুনিদের মুখে দিয়েছে চুনকালি। তারপর বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের লোকজনকে উসকানি দিলেও তারা সে উসকানি ওদের মুখের ওপর ছুড়ে দিয়েছে।

তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা কার ইঙ্গিতে বন্ধ হয়ে আছে? ফ্যাসিস্ট সরকারের কারণে এটা হয়নি। কুড়িগ্রামের বড়াইবাড়ি যুদ্ধের প্রতিশোধ নিতে পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সমাজে অনাচার ও চাঁদাবাজি যারা করবে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা মুখ বন্ধ করে থাকবো না। সব দল ও ধর্মের লোকজন মিলে ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।

এ সময় কেন্দ্রীয় জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ব্যারিস্টার সালেহীন, কুড়িগ্রাম জেলার সাবেক আমির আজিজুর রহমান স্বপন, বর্তমান আমির মো. আব্দুল মতিন ফারুকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পূর্বকোণ/মাহমুদ