চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫

সর্বশেষ:

রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে আপিল শুনানি ১৩ ফেব্রুয়ারি

অনলাইন ডেস্ক

২৩ জানুয়ারি, ২০২৫ | ২:০৯ অপরাহ্ণ

রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম সংশোধন চাওয়া রিভিউ আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করেছেন আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

 

এর আগে গত ৯ জানুয়ারি দেশের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রম ঠিক করতে আপিল বিভাগে দ্রুত রিভিউ শুনানির আবেদন করেছে বিচারকদের সংগঠন জুডিসিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশন। আবেদনটি করেছেন ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর।

 

সেদিন আইনজীবী আপিল বিভাগকে বলেন, রিভিউটির দ্রুত শুনানি হওয়া উচিৎ। কারণ রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের এটি ঠিক মতো হয় না।

 

রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী, ১৯৮৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়। ২০০০ সালে এটি সংশোধন করা হয়। সংশোধিত এ ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশনের সাবেক মহাসচিব আতাউর রহমান।

 

ওই রিটের ওপর ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে ওই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স বাতিল করে আট দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম ঠিক করে রায় দেন আপিল বিভাগ। যার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয় ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর।

 

সেই রায়ে বলা হয়েছে, ১. সংবিধান যেহেতু রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন, সেহেতু রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের শুরুতেই সাংবিধানিক পদাধিকারীদের গুরুত্ব অনুসারে রাখতে হবে। ২. জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় সদস্যরা রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের ২৪ নম্বর থেকে ১৬ নম্বরে সরকারের সচিবদের সমমর্যাদায় উন্নীত হবেন। জুডিসিয়াল সার্ভিসের সর্বোচ্চ পদ জেলা জজ। অন্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরে সচিবরা রয়েছেন। ৩. অতিরিক্ত জেলা জজ ও সমমর্যাদার বিচার বিভাগীয় সদস্যদের অবস্থান হবে জেলা জজদের ঠিক পরেই, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমের ১৭ নম্বরে।

 

এতে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম কেবল রাষ্ট্রীয় আচার-অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে। নীতি নির্ধারণী ক্ষেত্র বা অন্য কোনও কার্যক্রমে যেন এর ব্যবহার না হয়।

 

পূর্বকোণ/ইব

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট