চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪

আছাদুজ্জামান মিয়ার ‘দুর্নীতি’ জানব কী করে: কাদের

অনলাইন ডেস্ক

১৮ জুন, ২০২৪ | ৯:৫৭ অপরাহ্ণ

ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে কী করে জানবেন, সে প্রশ্ন রেখেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ঈদের পরদিন মঙ্গলবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন।

 

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, “সরকার অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়তে চায় না। সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তেমন অভিযোগ আসেনি। তবে দুর্নীতি হলে তদন্ত হবে, বিচার হবে।“বিচার বিভাগ স্বাধীন, দুদকও স্বাধীন। যে যত প্রভাবশালী হোক তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করা যাবে। তদন্ত শেষে মামলা করা যাবে, মানে বিচারের আওতায় আসবে।”

 

সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির খোঁজ মেলা নিয়ে আলোচনা থামতে না থামতেই এবার শুরু হয়েছে আছাদুজ্জামান মিয়া ও তার পরিবারকে নিয়ে।

 

দৈনিক মানবজমিন ও পরে দৈনিক প্রথম আলোতে তার পরিবারের সম্পত্তির বিষয়ে নানা তথ্য ছাপা হয়। এতে লেখা হয়, “বাড়ির পর বাড়ি। জমি এবং ফ্ল্যাটের সারি। কী নেই সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান মিয়ার। রীতিমতো গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। তবে শুধু নিজের নামে নয়। স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ের নামেও বিপুল সম্পত্তি গড়েছেন ডিএমপির সাবেক এই কমিশনার।”

 

পরে প্রথম আলো গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের তথ্য তুলে ধরে লিখেছে, পুলিশের সাবেক এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার স্ত্রীর নামে ঢাকায় একটি বাড়ি ও দুটি ফ্ল্যাট এবং মেয়ের নামে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের নামে ৬৭ শতক জমি রয়েছে। এই তিন জেলায় তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে রয়েছে আরও ১৬৬ শতক জমি।

 

আছাদুজ্জামান মিয়া ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ডিএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তাকে জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত সেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেয় সরকার। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়।

 

প্রথম আলো সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্যও ছেপেছে। সেখানে দাবি করেছেন, তিনি উত্তরাধিকার সূত্রেই বিপুল সম্পত্তির মালিক। তার স্ত্রী, কন্যা, জামাতাও ভালো আয় করেন।

 

এ নিয়ে আলোচনার মধ্যে আছাদুজ্জামান মিয়া বিদেশে গেছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে তথ্য ছাপা হয়েছে।

 

এক প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আছাদুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে দুদক তদন্ত করেনি। তার ব্যাপারে কী করে জানব? সরকারের নজরে আসার আগে সরকার কীভাবে ব্যবস্থা নেবে?”

 

যখনই কোনো দুর্নীতির অভিযোগ নজরে এসেছে, তখনই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে দাবি করে সড়ক মন্ত্রী বলেন, “গণমাধ্যমে আসার পর কিংবা সরকারের নজরে আসার পর সরকার কারো দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি এমন ঘটনা ঘটেনি।

 

“দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা দিয়েছেন এবং দুদককেও স্বাধীন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যে যত বড় শক্তিশালী হোক না কেন, দুর্নীতি করলে তদন্ত হবে। দুদক এটি করবে।…বিএনপি শাসনামলে এমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি।”তথ্যসূত্র : বিডিনিউজ

 

 

পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট