নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন ও অংশগ্রহণমূলক নয় মর্মে আখ্যায়িত করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি জানান, নির্বাচনে ২৮টি রাজনৈতিক দল ও ১৯৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
সিইসি বলেন, নির্বাচনে সহিংসতা গ্রহণযোগ্য নয়। নাশকতা ও সহিংসতায় নির্বাচন কমিশন উদ্বিগ্ন বলেও জানান তিনি।
নির্বিঘ্নে ও উৎসবমুখর পরিবেশে দেশবাসীকে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বানও জানান সিইসি।
রাজনৈতিক সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, আলাপ আলোচনায় যেকোনো রাজনৈতিক সংকট নিরসন সম্ভব। সারা দেশে নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
সিইসি বলেন, নির্বাচনে পর্যাপ্ত সংখ্যক দেশি-বিদেশি সাংবাদিক ভোট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। আপনারা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে সংসদ ও সরকার গঠনে দায়িত্ব পালন করবেন।
সিইসি আরও বলেন, নির্বাচনে অনিয়ম ঠেকাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন এবার সার্বজনীন কাঙ্খিত মাত্রায় হয়নি। নির্বাচন বিষয়ে সবাইকে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
এর আগে, গত ১৫ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। ওই ভাষণে তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। ওইদিন আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে তার ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হবে রবিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টায়। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হবে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনে পরে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ২৮টি দল। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন আর স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ আর ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী। এ ছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২।
৪২ হাজার ১০৩টি কেন্দ্রে ভোটকক্ষ থাকবে ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। সব আসনেই ব্যালট পেপার ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ হবে।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ