চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

মানবাধিকার দিবসে নেতা-কর্মীদের সক্রিয় করার চেষ্টায় বিএনপি

অনলাইন ডেস্ক

৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ | ১১:৪৫ অপরাহ্ণ

প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর পালন করা হয় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। সরকারের পতনের আন্দোলনে থাকা বিএনপি এই দিবস থেকে আন্দোলনের রূপরেখায় বদল আনতে চায়। আন্দোলন জমাতে শীর্ষ নেতাদের মাঠে না পেয়ে হতাশ দলের কর্মী-সমর্থকরা। এ অবস্থায় দিবসটি ঘিরে তারা এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চায়।

 

রোববারের মানববন্ধন কর্মসূচির মাধ্যমে দলটি সারাদেশের নেতা-কর্মীদের মাঠে নামাতে চায় বিএনপি। নতুন করে উজ্জীবিত করতে চায় দলের নেতা-কর্মীদের। উপস্থিত করার চেষ্টা করা হবে বিভিন্ন সময় নির্যাতিত, গুম, হত্যার শিকার নেতা-কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের। একই সঙ্গে জাতিসংঘসহ বিদেশি দূতাবাসগুলোতে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজনীয়তা তুলে চিঠি দেবে দলটি।

 

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে দলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সক্রিয় করার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। কারও কোনো গাফিলতি থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থাও নেওয়া হবে জানা যায়।

 

সূত্র জানায়, রোববার (১০ ডিসেম্বর) মানববন্ধন কর্মসূচিতে সারাদেশের নেতাকর্মীদের নামানোর জোর চেষ্টা থাকলেও শেষ পর্যন্ত কতজনকে দেখা যাবে তা নিয়ে এখনো রয়েছে সংশয়। বিগত কর্মসূচির ভিত্তিতেই এই সংশয় তৈরি হয়েছে। দলের পদধারী প্রায় প্রত্যেকেই মামলার আসামি। আর আসামি পেলে পুলিশ গ্রেফতার করবে। এ কারণে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি নিয়ে একটা শঙ্কা থেকেই যায়।

 

নেতারা বলছেন, কর্মসূচিতে এবার কারও গাফিলতি থাকলে তাকে শাস্তি ভোগ করতে হবে। এবার কর্মসূচি সফল করতে বিকল্প ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বিএনপির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট নেতাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

 

আইনজীবী-পেশাজীবিরা থাকবেন এ মানববন্ধনে। পাশাপাশি দলের পক্ষ থেকে জাতিসংঘসহ বিদেশি দূতাবাসগুলোতে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ সার্বিক চিত্র তুলে ধরে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের জন্য সমর্থন চাইবে বিএনপি।

 

বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, কর্মসূচিতে প্রশাসন বাধা না দিলে তারা আপাতত হরতাল-অবরোধ থেকে বের হয়ে এসে জনসম্পৃক্তমূলক কর্মসূচি পালন করতে চায়। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত এ ধরনের কর্মসূচিতেই থাকতে চায় দলটি। যদি প্রশাসন, বিশেষ করে পুলিশ বাধা দেয় বা সেখান থেকে ব্যাপকহারে গ্রেফতার করা হয় তবে ভিন্ন কর্মসূচির কথাও ভাবছে দলটি। সেক্ষেত্রে ফের হরতাল-অবরোধের পাশাপাশি ইসিসহ প্রশাসনিক বিভিন্ন ভবন ঘেরাও কর্মসূচি আসতে পারে।

 

পূর্বকোণ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট