ঈদে যানবাহনে উচ্চশব্দে উল্লাস না করার নির্দেশ পুলিশের
ঈদের ছুটিতে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামের বাড়িতে যাবেন অনেকেই। তবে সেখানে গিয়ে জমিজমা বা পারিবারিক বিরোধের জেরে অথবা অন্য কোনও কারণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুলিশ। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরইমধ্যে ঈদের ছুটিতে বাড়ি গিয়ে কেউ যেন কোনও বিরোধপূর্ণ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে না পড়ে, পুলিশ সদর দফতর থেকে এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরিবারের সবার সঙ্গে ঈদ উদযাপন করে সবাই সুস্থ-সবলভাবে আবারও কর্মস্থলে ফিরে আসবেন, এমনটাই প্রত্যাশা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পুলিশ বলছে, ঈদের জামাতকে কেন্দ্র করে কোনও ধরনের বিরোধে না জড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যারা ছুটি নিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রামে যাবেন তারা নিজ ব্যবস্থাপনায় বাসাবাড়ির নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে যাবেন। ঈদের ছুটিতে বা কোনও কারণে বাসা ছেড়ে গেলে নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকারসহ অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ—ব্যাংক বা আস্থাশীল কোনও জায়গায় রেখে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।
এছাড়া, ঈদের ছুটিতে রাস্তা বন্ধ করে, পিকআপ বা অন্য কোনও যানবাহনে উচ্চশব্দে দলবদ্ধভাবে উল্লাস করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। ঈদের সময় দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে শালীনতা এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি নির্জন স্থানে বেড়ানো পরিহার করার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। তারা বলছে, কোনও অবস্থাতেই অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের হাতে মোটরসাইকেলের চাবি তুলে দেবেন না। এছাড়া ঈদের সময়ে ফেসবুক বা অন্য কোনও সামাজিক মাধ্যমে পরিচিত বন্ধু-বান্ধবীর সঙ্গে দেখা-সাক্ষাতে বিরত থাকতেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সদর দফতরের একজন কর্মকর্তা বলছেন, সারা দেশে ঈদকেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপারকে (এসপি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেউ কোনও ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যেন জড়াতে না পারে সেজন্য আগে থেকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। যেসব এলাকায় ঈদের সময় বিভিন্ন ধরনের অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির ইতিহাস রয়েছে—সেগুলোকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে। বিশেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, রাজশাহীসহ বেশ কয়েকটি জেলায় বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ