রেলওয়ের তিন প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ হওয়া রূপপুর স্টেশন চালু হলে ঈশ্বরদী ইপিজেডের প্রস্তুতকৃত মালামাল কন্টেইনারের মাধ্যমে কম খরচে, কম সময়ে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানো সহজ হবে।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জানা যায়, ভারত থেকে বিভিন্ন পণ্যবাহী কোচ বাংলাদেশে আসে, এখন পণ্যবাহী ট্রেনের সমস্ত আনলোডিং হয় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশনে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে আনলোডিং সেন্টার নেই। পশ্চিমাঞ্চলের আওতায় পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ঈশ্বরদীর রূপপুর স্টেশন চালু হওয়ার পর, সরাসরি ভারত থেকে পণ্যবাহী ট্রেনের মালামাল আনলোড করা সহজ হবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থেকে মন্দবাগ ও কুমিল্লার শশীদল থেকে রাজাপুর পর্যন্ত ডাবল লাইনে ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ, একই সঙ্গে ঢাকা টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ লাইন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় টঙ্গী জয়দেবপুর সেকশনে ১১ কিলোমিটার ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচল ও পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় রূপপুর রেলস্টেশন ও নবনির্মিত ও সংস্কার করা ২৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটার রেললাইন।
ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ লাইন ৩৩ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার রুটে লুপ লাইনসহ ১১৬ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে। এর প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা।
রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, স্টেশনটির নামকরণ করা হয়েছে ‘রূপপুর’ স্টেশন। এই স্টেশন হয়ে কোনও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করবে না। শুধু রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের মালামাল ও যন্ত্রপাতি আনা-নেওয়ার জন্য স্টেশনটি ব্যবহৃত হবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য সিগন্যালিংসহ রেললাইন সংস্কার ও নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় রেললাইন এবং স্টেশন রয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ৩৩ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে এই রেললাইন।
পূর্বকোণ/জেইউ