চট্টগ্রাম শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

অবৈধভাবে ভারতে অবস্থানের অভিযোগে বাংলাদেশি দম্পতি আটক

অনলাইন ডেস্ক

২২ জানুয়ারি, ২০২৩ | ২:০৫ অপরাহ্ণ

অবৈধভাবে ভারতে অবস্থানের অভিযোগে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া এক দম্পতিকে আটক করেছে ভারতীয় পুলিশ। আটককৃতরা হলো, বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের বাসিন্দা জে এ আলি খান (২৬) ও তার স্ত্রী কেন্দুয়ার বাসিন্দা এম আক্তার শিউলি (২১)। গত বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের পুনে শহরের পুলিশ তাদেরকে আটক করে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

 

 

শনিবার (২১ জানুয়ারি) রাতে পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

 

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ পুনের বুধওয়ার পেঠের ক্রান্তি হোটেল এলাকা থেকে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে।

 

 

পরে শুক্রবার তাদের বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্ট এবং পাসপোর্ট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ফরাসখানা থানায় এফআইআর দায়ের করে পুলিশ।

 

 

পুনের সিনিয়র পুলিশ ইন্সপেক্টর শাব্বির সায়াদ বলেন, ‘অভিযুক্ত দম্পতি কয়েক দিন আগে পশ্চিমবঙ্গের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করেছিল বলে তদন্তে জানা গেছে। তারপর তারা হাওড়ায় পৌঁছে, যেখান থেকে ট্রেনে মুম্বাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এরপর তারা পুনে আসেন। একজন অটোরিকশা চালক তাদের বুধওয়ার পেঠে নামিয়ে দেন। তথ্য পাওয়ার পর, আমাদের দল বৃহস্পতিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করে।’

 

 

অভিযুক্ত দম্পতি দরিদ্র পরিবারের সদস্য এবং আর্থিক সমস্যার কারণে তারা ভারতে এসেছিলেন বলেও তদন্তে উঠে এসেছে।

 

 

এদিকে আটকের পর ওই দম্পতিকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। আরও তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

 

 

অন্যদিকে পৃথক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ভারতে প্রবেশের অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুনের বুধওয়ার পেঠে একজন পুরুষ ও একজন নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, উভয়েই বাংলাদেশের বাসিন্দা।

 

পুলিশ আরও জানিয়েছে, ‘আমরা তাদের বুধওয়ার পেঠের গলিতে চলাফেরা করতে দেখি এবং পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের হেফাজতে নেওয়া হয়। আমরা তাদের নথিপত্র দেখাতে বলেছি কিন্তু তারা কোনও নথি সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা তাদের ব্যাগ চেক করে বাংলাদেশি পরিচয়পত্র খুঁজে পেয়েছি।’

 

 

পুলিশের দাবি, ‘মঙ্গলবার ওই দম্পতি কাজের সন্ধানে পুনে এসেছিল বলে জানিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, তারা বাংলাদেশে থাকার সময় বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা ধার নিয়েছিল এবং সেটি থেকে বাঁচার জন্যই তারা পালিয়ে ভারতে প্রবেশ করে।’

 

 

পূর্বকোণ/আরএ

 

 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট