গুম-খুন-অপহরণের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, নিষেধাজ্ঞার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য ও আমদানি–রপ্তানিতে বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ক্ষণগণনা চলছে নিশিরাতের সরকারের বিদায়ের।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি)রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী।
গত ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে পৃথকভাবে এ নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব বিভাগ) ও পররাষ্ট্র দপ্তর।
এ নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রিজভী বলেন, এক যুগের বেশি সময় ধরে বিনা ভোটের অবৈধ সরকার গুম, খুন, অপহরণকে তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার রক্ষাকবচে পরিণত করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে র্যাব বাহিনী ও র্যাব-পুলিশের সাত কর্মকর্তার ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এবং দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংস্থাগুলোর চাপে পিছু হটায় গুম-খুনের আতঙ্কে থাকা পরিবারগুলোয় কিছুটা হলেও স্বস্তি নেমে এসেছিল। কিন্তু ইদানীং আবারও পুরোনো পৈশাচিক চেহারায় ফিরে এসে গুমের মতো ভয়াবহ অপরাধ শুরু করেছে সরকার।
রিজভী বলেন, ইতিমধ্যে জাতিসংঘ থেকে গুম হওয়া সম্পর্কে তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ পর্যালোচনা করে জরুরি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। দুরাচার অবৈধ সরকারকে আতঙ্ক ঘিরে ফেলেছে। স্বয়ংক্রিয় ভোটের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গুম-খুন নিয়ে প্রলাপ বকছেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, গুম-অপহরণ-দুঃশাসন চালিয়ে যেভাবে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন, তার পরিণতি হবে ভয়ংকর। সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন গুম-খুন–অপহরণের শিকার পরিবারগুলোর শোকার্তরা কাফনের কাপড় পরে স্বজনদের খোঁজে গণভবনের দিকে রওনা দেবে।
সভায় ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিএনপির দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
পূর্বকোণ/এএ