চট্টগ্রাম শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

চাঁদা না পেয়ে জিম্মি করে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

অনলাইন ডেস্ক

২৭ ডিসেম্বর, ২০২১ | ১২:৩৪ অপরাহ্ণ

আট মাস বয়সী শিশু সন্তানের জন্মগতভাবে হার্টে ছিদ্র থাকায় তার চিকিৎসায় ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন। শিশুটির চিকিৎসার অর্থ সংকুলানের আশায় স্বামীসহ কক্সবাজারে অবস্থান করছিল পরিবারটি। তারা বিত্তবান পর্যটকদের কাছে অর্থ সাহায্য চাইত। চিকিৎসার অর্থ জোগাতে দেশি বিদেশি ট্যুরিস্টদের কাছ থেকে অর্থ জোগানোর বিষয়টি জেনে তাদের কাছে অর্থ দাবি করে গ্রেপ্তার আশিকুর রহমানসহ তার সংঘবদ্ধ চক্র।

টাকা না পেয়ে তাদের সুগন্ধা বিচ থেকে জিম্মি করে সিএনজিতে করে নেওয়া হয় চায়ের দোকানে। সেখান থেকে জিয়া গেস্ট ইন হোটেলে। সেখানে মূলহোতা আশিকসহ চক্রের সদস্যরা ওই নারীকে ধর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় মূলহোতা ও প্রধান আসামি আশিকুল ইসলামকে মাদারীপুর থেকে গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এসব জানিয়েছে র‌্যাব।

র‌্যাব বলছে, ওই নারী চক্রটির পূর্ব পরিচিত ছিল না। ঘটনার একদিন আগে বিচে তাদের পরিচয় হয়। সেসময় ওই নারী শিশু সন্তানের চিকিৎসার জন্য ট্যুরিস্টদের কাছে অর্থ সহযোগিতা চাইছিল।

সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, গত ২২ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজারে গণধর্ষণের শিকার হন এক নারী। ওই ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লেখ করে ও আরও দুই/তিন জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। ওই ঘটনায় ট্যুরিস্ট পুলিশ, জেলা পুলিশসহ ছায়া তদন্ত করছিল র‌্যাব।

ভিকটিমকে অপহরণের ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী র‌্যাব-১৫ এর কাছে উদ্ধারে সহায়তা চায়। পরে র‌্যাব ভিকটিমের স্বামীকে নিয়ে উদ্ধারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় ও একপর্যায়ে ভিকটিম উদ্ধার হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে জিম্মি করতে সহযোগিতার অভিযোগে জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট