চট্টগ্রাম রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

তরুণ প্রজন্মের তানহা জাফরিন

ইয়াসমিন আকতার

৩০ নভেম্বর, ২০১৯ | ১:৪৭ পূর্বাহ্ণ

এ প্রজন্মের নায়িকা এবং মডেল তানহা জাফরিন বাংলাদেশের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র । ছোটবেলা থেকে মিডিয়ার প্রতি তার অনেক আগ্রহ কাজ করে, যার ফলে চলচ্চিত্রে নায়িকা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও মিডিয়াতে কাজ করার ব্যাপারে তানহার পারিবারিক উৎসাহ না থাকলেও , তার অটল আগ্রহের কারণে বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করে। তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘এই গল্পে ভালোবাসা নেই’ তানহা তার চলচ্চিত্রে সম্পর্কে বলেন,ছবিটি মূলত বাণিজ্যিক ধারার একটি ভালোবাসার গল্প অবলম্বনে নির্মিত। এই চলচ্চিত্রে তানহার বিপরীতে অভিনয় করেছে এ প্রজন্মের আর এক জনপ্রিয় মডেল এবং অভিনেতা সুমিত। বাংলাদেশের বিভিন্ন লোকেশনে এই ছবিটির শুটিং হয়েছে। ছবিটি নিয়ে তানহা খুব আশাবাদী। তানহার এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন রয়েল খান। রয়েল ভাই সম্পর্কে তানহা বলেন , রয়েল ভাই খুব ভাল পরিচালনা করেছেন এবং ছবিটির প্রত্যেকটি দৃশ্যে রয়েল ভাই খুব সহযোগিতা করেছেন। তানহা সামনে কলকাতার ছবিতে কাজ করবে। তানহা আরও বলেন দর্শকরা যদি উৎসাহ দেয় তাহলে সামনে আরও ভাল ছবি উপহার দিতে পারবে এবং দর্শকদের প্রতি তার একটাই অনুরোধ, দর্শকরা যেন হলে গিয়ে ছবিটি দেখে।

যদি অটুট লক্ষ্য আর উদ্যম থাকে জীবনের স্বপ্নগুলোকে পাখা মেলে ধরতে তবে শত বাধাও পিছুটান হয়ে থাকতে পারে না। আর এই কথাটাই প্রমাণ করলেন চলচ্চিত্র জগতে পা রাখা নবীন চিত্রনায়িকা তানহা জাফরিন। শত কাঠখড় পুড়িয়ে চোখে হাজারো স্বপ্ন নিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন ২০০৫ সালের লাক্স-চ্যানেল আই প্রতিযোগিতায়। বগুড়া জেলা থেকে নির্বাচিত হয়ে ঢাকায় আসার প্রস্তুতি যখন শুরু হয় ঠিক তখনই প্রথম স্বপ্নের ট্রেনটা থেমে যায়। পারিবারিক কারণেই আর ঢাকা আসা হলো না তানহার। অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকেন পরবর্তী কোনো সুযোগের। এই দিকে মঞ্চ নাটকে অভিনয় চলতে থাকে নিয়মিতই। চতুর্থ শ্রেণীতে থাকতেই মঞ্চে যাত্রা শুরু তার। এরপর প্রায় অনেক বছর মঞ্চে অভিনয় করেন তিনি। একসময় পরিবারের অবাধ্য হয়েই খালার সাথে চলে আসেন ঢাকায়। এরপর বেশকিছু ফ্যাশন হাউজের মডেল হিসেবে ক্যারিয়ারের যাত্রা শুরু করেন। পরবর্তীতে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হন তানহা। তানহার কথায়, ‘আমার বাবা আমাকে কখনো সাপোর্ট করেননি এবং এখনও না। পরিবারের একমাত্র আমার মা, যিনি আমাকে অ্যাপ্রিশিয়েট করেন।’ খালার মাধ্যমেই পরিচয় হয় পরিচালক রিজভি আহমেদের সাথে। পরিচয়ের কিছুদিন পরই প্রস্তাব পান বড়পর্দায় অভিনয়ের। তানহার সামনে চলে আসে নিজের স্বপ্নের ক্যানভাসটি। যেখানে সাদাকালো হয়ে যাওয়া স্বপ্নগুলো রঙিন হয়ে ভাসছে। এর আগেও একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পান তানহা। রিজভি আহমেদের ‘বড় বানাবো তোমাকে’ ছবিতে চুক্তি স্বাক্ষর করেন তানহা। যেখানে একজন গ্রামের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।

নিজেকে বাংলা চলচ্চিত্রের নক্ষত্র হিসেবে দেখতে চান তানহা। যেই নক্ষত্র কখনও ঝরে পড়বে না। শাবানা, ববিতার মতো একটা ইমেজ তৈরি করতে চান নিজের। আর সেই যাত্রা ইতোমধ্যে শুরু করে দিয়েছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট