চট্টগ্রাম সোমবার, ২০ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

সপ্ত বীরশ্রেষ্ঠের স্মরণে

বাগীশ্বরী সঙ্গীতালয়ের ১৪ বছর পূর্তি সম্পন্ন

যীশু সেন

১১ মে, ২০১৯ | ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ

শুদ্ধ সঙ্গীতের ধারাকে চলমান রাখার প্রত্যয়ে প্রতিষ্ঠিত বাগীশ্বরী সঙ্গীতালয়ের ১৪ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সম্পন্ন হয়। সঙ্গীতালয়ের সভাপতি কৈলাশ বিহারী সেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গুণী কথামালা ও মনোজ্ঞ সঙ্গীতানুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলা একাডেমি ও একুশে পদকপ্রাপ্ত ড. হরিশংকর জলদাস। ডা. সুপণ বিশ্বাসের সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক (বিপিএম, পিপিএম-বার)। বাগীশ্বরী সঙ্গীতালয়ের পরিচালক ও সঙ্গীত প্রশিক্ষক রিষু তালুকদারের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠানে।
মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগের অকুতোভয় সাত বীরশ্রেষ্ঠের স্মরণে উৎসর্গিত বাগীশ্বরী সঙ্গীতালয়ের ১৪ বছর পূর্তিতে সঙ্গীতাঞ্জলি।
অনুজ প্রতীমদের হাতে লাল সবুজের পতাকা নিয়ে নেড়ে নেড়ে গাইলেন ‘সুন্দর সুবর্ণ তারুণ্য লাবণ্য’ তখন সত্যি গর্বে বুকটা ভরে উঠেছিলো। অংশগ্রহণে ছিলেন সৌমিক দত্ত, জয়িতা দত্ত, অনিতা ঘোষ, রুম্পা দাশগুপ্তা, অহনা মজুমদার, অনিন্দ্য রায় বিশ্বাস, প্রজ্ঞা মজুমদার, পাপিয়া পাল, কৌশিক সেনগুপ্ত, নবনীতা দাশ, ঋতম ঘোষ, তৃষ্ণা চৌধুরী, রাজ চৌধুরী, পূজা দে, প্রিয়ন্ত সেন, নাদিয়া সুলতানা, অদ্রি সেন, পূজা দাশ, অনিন্দ্য রুদ্র ও সাদনিম সুলতানা। সপ্ত বীরশ্রেষ্ঠের স্মরণে শুরু হয় একক ও দ্বৈত সঙ্গীতানুষ্ঠান।
বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান গ্রুপে একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন- ‘মাগো ভাবনা কেন’ অর্পিতা দে, ‘আকাশে হেলান দিয়ে’ নবনীতা দাশ, ‘ধিতাং ধিতাং বোলে’ কৌশিক সেনগুপ্ত, ‘আমার মাথা নত করে’ অহনা মজুমদার, ‘জাত গেল জাত গেল বলে’ ধ্রুব পাল।
বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট ল্যাফটেনেন্ট মতিউর রহমান গ্রুপে একক সঙ্গীত পরিবেশন করেনÑ ‘কে নিবি ফুল’ প্রজ্ঞা মজুমদার, ‘যবে তুলসী তলায়’ আকাশ দত্ত, ‘বাড়ির কাছে আরশি নগর’ দেবারতি বিশ্বাস, ‘নতুন পাতার’ সৌমেন মজুমদার, ‘বনের হরিণ আয়’ তন্বী দেব।
বীরশ্রেষ্ঠ স্কোয়াড্রন লিডার রুহুল আমিন গ্রুপে একক সঙ্গীত পরিবেশন করেনÑ ‘আমি খুঁজে বেড়ায়’ শোভন বিশ্বাস, ‘একাদশীর চাঁদরে’ জয়িতা দত্ত, ‘কিনে দে রেশমী চুড়ি’ পাপিয়া পাল, ‘এসো হে সজল শ্যাম ঘন দেয়া’ নবনীতা দেব, ‘গান গাই আমার মন রে বুঝায়’ সৌমিক দত্ত।
বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ গ্রুপে একক সঙ্গীত পরিবেশন করেনÑ ‘অনেক বৃষ্টি ঝরে’ লুসিয়া নাফসি, ‘থাকতে পার ঘাটাতে’ নিগার সুলতানা, ‘ইশারায় শীষ দিয়ে’ ঐশি তালুকদার, ‘দুটি মন আজ’ মৌমিতা দত্ত, ‘গুরু তোমার নাম’ সনাতন দাশ।
বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামাল গ্রুপে সঙ্গীত ও গিটার পরিবেশন করেনÑ ‘ভুলিতে পারি না তারে’ অর্পিতা ঘোষ গীটারে শব্দযন্ত্রের সংযোগ করে আনন্দ দিলেন অতিথি শিল্পী অরূপ তালুকদার, ‘আজ জীবন খুঁজে পাই’ ‘ও পলাশ ও শিমুল’ বিশুতোষ তালুকদার। দ্বৈত সঙ্গীত পরিবেশন করেন ‘মন মোর মেঘের সঙ্গে’ বিজয় দেবনাথ ও পৃথুলা বিশ্বাস।
বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর গ্রুপে দ্বৈত সঙ্গীত পরিবেশন করেনÑ ‘তুমি আমার প্রথম সকাল’ জয়দীপ চৌধুরী ও অমি চক্রবর্ত্তী, ‘আমার বুকের মধ্যখানে’ মৌমিতা বিশ্বাস ও জয় দে, ‘ভালবাসা যত বড়’ দুর্জয় দত্ত ও শুক্লা পাল, ‘ভালো আছি ভালো থেকো’ ইমন সেন ও পুষ্পিতা চৌধুরী।
বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ গ্রুপে দ্বৈত সঙ্গীত পরিবেশন করেনÑ ‘তুমি আমার কত চেনা’ মণীষা সরকার ও রবিন মিত্র, ‘যেটুকু সময় তুমি থাকো’ সুমন সেন ও তৃষ্ণা সেন, ‘পাথরের পৃথিবীতে’ অধর দত্ত ও চুমকী সেন, ‘চম্পা চামেলী’ সানি ধর ও স্বস্তিকা দাশ। সমগ্র অনুষ্ঠানে যন্ত্রে সহযোগিতা করেনÑ কীবোর্ডে: নিখিলেশ বড়–য়া, অক্টোপ্যাডে : রনি চৌধুরী, বেইজ গিটার: তন্ময় বড়–য়া, তবলায়: দোলন দাশ, পলাশ দে, টিটন ধর (টিটু) ও দীপন দাশ।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট