চট্টগ্রাম শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

শান্তনু বিশ্বাসের গানের এ্যালবাম স্মৃতির শহরে প্রকাশিত

আজিজুল কদির

২৬ অক্টোবর, ২০১৯ | ১:১৪ পূর্বাহ্ণ

আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ হলো শান্তনু বিশ্বাসের ‘স্মৃতির শহরে’ গানের অ্যালবামটি । অপ্রকাশিত আটটি গান বছর দুই আগে রেকর্ড করে রেখেছিলেন কলকাতার একটি মিউজিক স্টুডিওতে। সেই গানগুলোই এবার শ্রোতাদের কাছে পৌঁছুলো ইউটিউব রিলিজ এবং সিডি অ্যালবাম প্রকাশের ভেতর দিয়ে। জি-সিরিজ প্রকাশ করলো উক্ত অ্যালবামটি । এই অ্যালবামে সংগীত আয়োজন করেছেন সুদীপ্ত সাহা। প্রতিটি গান শান্তনু বিশ্বাসের লেখা ও সুর করা। আর গেয়েছেনও তিনি নিজেই।

‘স্মৃতির শহরে’ অ্যালবামে রয়েছে- ‘স্মৃতির শহরে’, ‘সময়ের চাকাটা’, ‘আমার সকাল বেলার পাখি’, ‘কৃষ্ণকলি’, ‘এমন দিনে তারে’, ‘ঢেউ তোলো’, ‘দেখছি আর ভাবছি’ ও ‘বললে আমি যাই’ গানগুলো।
৫ অক্টোবর ঢাকায় এক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে অ্যালবামটির মোড়ক উন্মোচন হয়। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কণ্ঠশিল্পী বাপ্পা মজুমদার, শান্তনু বিশ্বাসের স্ত্রী শুভ্রা বিশ্বাস, সাগর লোহানী এবং জি সিরিজের কর্ণধার নাজমুল হক ভূঁইয়াসহ আরো অনেকে।

ইতোমধ্যে গানের অ্যালবামটি ইউটিউবে প্রকাশ করা হয়েছে দেশের প্রথম সারির অডিও-ভিডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি সিরিজের ইউটিউব চ্যানেলে।
অ্যালবামটির কভার ডিজাইন করেছেন শিল্পী স্বদেশ হাসনাইন। গ্রাফিক্স ডিজাইন করেছেন জি-সিরিজের প্রধান নির্বাহী জাহান। আলোকচিত্র তুলেছেন শাহরিয়ার ফারজানা।

সংগীতশিল্পী ও নাট্যজন শান্তনু বিশ্বাস স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কনিষ্ঠ শিল্পী হিসেবে তিনি গান গেয়েছেন। সংগীত ও নাটকের প্রতি শান্তনুর আগ্রহ স্কুল জীবন থেকেই। নিভৃতে কাজ করে যাওয়া শান্তনু বিশ্বাস নাটকের সঙ্গে গানেও জড়িয়ে নিয়েছিলেন নিজেকে। এক এক করে গানের মোট সাতটি অ্যালবাম তিনি প্রকাশ করেছেন। গান রচনা, সুরারোপ করা এবং সেই গানে তিনি কণ্ঠ দিয়েছেন। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে এবং দেশে-বিদেশে বহুবার তিনি মঞ্চে উঠেছেন নিজের গানকে সঙ্গে করে।

১৯৭৪ সাল থেকে প্রত্যক্ষভাবে থিয়েটারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন শান্তনু বিশ্বাস। গণায়ন নাট্য সম্প্রদায় থেকে শুরু অঙ্গন থিয়েটার ইউনিট এবং তারপরে কালপুরুষ নাট্য সম্প্রদায়। অভিনয় দিয়ে শুরু তারপর নাটক রচনা, নাটকের গান ও আবহ নির্মাণ ও নাট্য নির্দেশনা। সঙ্গে নাট্যপত্র ‘প্রসেনিয়াম’র সম্পাদনা ও প্রকাশ করেছেন শান্তনু বিশ্বাস।
চলতি বছরের ১২ জুলাই শান্তনু বিশ্বাস প্রয়াত হন এবং তার ইচ্ছে অনুযায়ী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে তার মরণোত্তর দেহদানের প্রক্রিয়া কার্যকর করা হয়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট