চট্টগ্রাম রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

সমঝোতার পর বেলারুশে যাচ্ছেন ভাগনারপ্রধান প্রিগোশিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৫ জুন, ২০২৩ | ১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ

দখল করা দক্ষিণ রাশিয়ান শহর রোস্তভ-অন-ডন ছেড়ে ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন বেলারুশে যাচ্ছেন। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিদ্রোহের কারণে তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলো তুলে নেওয়া হবে।

 

যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, রক্তপাত এড়াতে এসব অভিযোগ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

 

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার লুকাশেঙ্কো প্রিগোশিনের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন। এই চুক্তি অনুসারে, বিদ্রোহের কারণে প্রিগোশিনের বিরুদ্ধে যেসব ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছিল সেগুলো তুলে নেওয়া হবে।

 

পেসকভ বলেন, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ভাগনারের যোদ্ধাদের চুক্তি হবে। এর ফলে গতকাল শনিবারের বিদ্রোহের কারণে তাদের কোনো সাজা হবে না। ভাগনার যোদ্ধাদের সাহসিকতাপূর্ণ কাজের জন্য তাদের প্রতি ক্রেমলিনের সব সময়ই শ্রদ্ধা রয়েছে।

 

এদিকে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা আসার পর প্রিগোশিন ও তার যোদ্ধাদের রোস্তভ-অন-দন শহরের সামরিক সদর দপ্তর ত্যাগ করতে দেখা গেছে।

 

টুইটারে প্রকাশ পাওয়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, রোস্তভ শহর ছাড়ার সময় ওয়াগনার সেনারা আকাশের দিকে বন্দুক তাক করে ফাঁকা গুলি করছিলেন।

 

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে অংশ নিয়েছে ভাগনার। পূর্ব ইউক্রেনের বাখমুতে লড়াইয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে এই বাহিনী। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই অস্ত্র সরবরাহে ঘাটতির অভিযোগ তুলে রাশিয়ার সামরিক নেতাদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছিলেন ভাগনারপ্রধান প্রিগোশিন। এ নিয়ে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু ও সামরিক প্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভের সঙ্গে প্রকাশ্য বিরোধে জড়িয়ে পড়েন তিনি।

 

এরই মধ্যে গত শুক্রবার প্রিগোশিন অভিযোগ করেন, সেদিন ইউক্রেনের ভাগনার যোদ্ধাদের ওপর রকেট হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী শোইগু। এতে ভাগনারের অনেক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। একে ‘প্রতারণা’ আখ্যায়িত করে তিনি রুশ সামরিক নেতাদের উৎখাতের হুমকি দিয়েছিলেন।

 

এরপর প্রিগোশিন বিদ্রোহ ঘোষণা করে গতকাল শনিবার তাঁর বাহিনী নিয়ে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে রাশিয়ার রাজধানী মস্কো অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন। রাশিয়ার কয়েকটি শহর ও সামরিক স্থাপনার দখলও নেন। পরে বেলারুশের মধ্যস্থতায় সেই অভিযান বন্ধে রাজি হন তিনি।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন