চট্টগ্রাম সোমবার, ২০ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি বিমানকে চীনের যুদ্ধ বিমানের তাড়া

অনলাইন ডেস্ক

৩০ ডিসেম্বর, ২০২২ | ২:৩৪ অপরাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রের একটি নজরদারি বিমানকে তাড়া দিয়েছে চীনের একটি যুদ্ধ বিমান। বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর এ ঘটনা ঘটেছে। মার্কিন বিমানটি সাগরের ওপর নজরদারি চালাচ্ছিল। তখন তাদের বিমানটিকে ভয় দেখাতে চীনের বিমানটি প্রায় কাছাকাছি (৬ মিটার) চলে এসেছিল। খবর আল জাজিরার।

 

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনী স্থানীয় সময় এ নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর আরসি-১৩৫ নজরদারি বিমানের গতিরোধ করে গত ২১ ডিসেম্বর চীনের একটি জে-১১ যুদ্ধবিমানের পাইলট ঝুঁকিপূর্ণ মহড়া দিয়েছেন।’

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তাদের নজরদারি বিমানটি আন্তর্জাতিক আকাশ সীমায় ‘আইন মেনে’ দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর উড়ছিল।

 

গত কয়েক মাসে চীনের যুদ্ধবিমানের পাইলটদের বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ ওঠেছে, তারা ঝুঁকিপূর্ণভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র দেশেগুলোর বিমানের কাছে গিয়েছে। বিশেষ করে স্পর্শকাতর স্থান ও অঞ্চলগুলোতে অন্য দেশের পাইলটদের হেনস্তা করার অভিযোগ রয়েছে চীনা পাইলটদের বিরুদ্ধে।

 

চলতি বছরের জুনে কানাডা জানায়, খুবই ঝুঁকিপূর্ণভাবে কানাডার একটি বিমানের কাছে চলে এসেছিল চীনের বিমান। কানাডার বিমানটি উত্তর কোরিয়ার ওপর জাতিসংঘের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে সীমান্তে টহল দিচ্ছিল। ওই সময় এ ঘটনাকে ‘খুবই হতাশাজনক’ বলে উল্লেখ করেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

 

এছাড়া অস্ট্রেলিয়াও চীনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছিল। চলতি বছরের এপ্রিল ও মে মাসে দুইবার চীনের বিমানের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার যুদ্ধবিমানের ঝামেলা বাধে।

 

যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর একজন মুখপাত্র সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে সমুদ্রে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি অন্যান্য দেশের জাহাজের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ানো বাড়িয়েছে। ঠিক এমন সময়েই আকাশপথেও একই ধরনের কাজ করছে তারা। যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় চিন্তার কারণ।

 

এদিকে চীন দাবি করে থাকে দক্ষিণ চীন সাগরের পুরো অংশ তাদের। যদিও ২০১৬ সালে একটি আন্তর্জাতিক আদালত রায় দেয়, চীনের এ দাবির কোনো ভিত্তি নেই। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রও চীনের দাবি প্রত্যাখ্যান করে থাকে।কিন্তু তা সত্ত্বেও বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরে কৃত্রিম দ্বীপ ও সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েই চলছে বেইজিং।

 

ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ব্রুনাই এবং তাইওয়ান দাবি করে থাকে দক্ষিণ চীন সাগরে তাদেরও অংশ আছে। তবে এগুলো মানে না চীন। ২০১৫ সালে প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং বলেছিলেন, ‘প্রাচীন আমল থেকে দক্ষিণ চীন সাগর চীনের অংশ।’ সূত্র : আল জাজিরা

 

পূর্বকোণ/আর

 

শেয়ার করুন