চট্টগ্রাম রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

মাঙ্কি পক্সের হানা কি করোনার মতো অতিমারির আকার নিতে পারে?

অনলাইন ডেস্ক

২৪ মে, ২০২২ | ৭:০৯ অপরাহ্ণ

এই ভাইরাস কিন্তু মানুষের কাছে নতুন নয়, স্মল পক্সের সমগোত্রীয়। মাঙ্কি পক্সের হানা আগেও হয়েছে মানুষের শরীরে। এর টিকাও আছে বাজারে।

মাঙ্কি পক্সের সংক্রমণ নিয়ে ধীরে ধীরে উদ্বেগ বাড়ছে গোটা বিশ্বে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইতিমধ্যেই এই রোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে আমেরিকার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই রোগ নিয়ে এখনই খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার কারণ দেখছেন না। তাঁদের মতে, এই রোগ কোভিডের মতো অতিমারির আকার নেবে না। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

চিকিৎসক ফাহিম ইউনুস, ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চিফ কোয়ালিটি অফিসার এই বিষয়ে বলেছেন, ‘মাঙ্কি পক্সে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সেটা উদ্বেগজনক হলেও এই রোগে কোভিডের মতো অতিমারি হওয়ার ঝুঁকি শূন্য শতাংশ। এই ভাইরাস কোভিডের মতো প্রাণঘাতী নয়।’

ফাহিমের মতে, এই ভাইরাস মানুষের কাছে নতুন নয়। এটি ‘স্মল পক্স’-এর সমগোত্রীয়। কোভিডের মতো এই ভাইরাস ততটাও সংক্রমক নয়। এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুর আশঙ্কাও কম। সর্বপোরি এই ভাইরাসের জন্য বাজারে টিকা রয়েছে। স্মল পক্সের টিকা দিয়েই এই ভাইরাসকে জব্দ করা সম্ভব। কোভিডের ক্ষেত্রে ভাইরাসের প্রজাতিটি অচেনা ছিল। তাই টিকা নিয়ে আসতে প্রায় বছর খানেক লেগে গিয়েছিল। আর এই কারণেই কোভিড অতিমারির আকার ধারণ করেছিল।

ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর তরফেও এই ভাইরাস নিয়ে ইতিবাচক কথা জানানো হয়েছে। হু-র তরফে চলা মাঙ্কি পক্স নিয়ে গবেষণার নেতৃত্বে থাকা মারিয়া ভ্যান কেরখোভ বলেন, ‘মূলত ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার দেশগুলিতে মাঙ্কি পক্স ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে পারি। অতিমারিতে আক্রান্ত নয় এমন দেশগুলিতে এটি করা সম্ভব। আমরা এমন পরিস্থিতিতে আছি, যেখানে প্রাথমিক ভাবে এই রোগ শনাক্ত করে আক্রান্তদের নিভৃতবাসে পাঠাতে পারি। এক জন অন্য জনের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এলে, বিশেষ করে ত্বকের সংস্পর্শে এলে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। তাই নিভৃতবাসই এই রোগের প্রকোপ কমাতে পারে।’

 

পূর্বকোণ/মামুন/পারভেজ

শেয়ার করুন