চট্টগ্রাম রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

মাটি খুঁড়ে ৯০টি বিস্ফোরক বের করল কুকুর!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

৫ এপ্রিল, ২০২২ | ১২:৪২ অপরাহ্ণ

প্রায় ৯০টি বিস্ফোরক উদ্ধার করে এক অদ্ভুত কুকুর। তীব্র ঘ্রাণশক্তি দিয়েই মাটি খুঁড়ে একের পর এক বিস্ফোরণ দ্রব্য উদ্ধার করছে সেই কুকুর। বিস্ফোরণ দ্রব্য উদ্ধার করে সেই কুকুর এখন তারকা। খবর নিউজউইকের।

মূলত সে মানুষ না হয়েও সাহায্য করছে দেশটির সেনা বাহিনীকে। ইউক্রেনের চেরনিহিভ শহরে দেখা মিলেছে এমনই এক অদ্ভুত কুকুরের।

কৌতুহলী চোখ আর সজাগ কান। গায়ের মিলিটারি জ্যাকেট আর গলায় সবুজ বেল্টে ঝোলানো রুপালি বর্ণের লকেট- এর সবই রাসেল টেরিয়ার জাতের এ কুকুরটিকে অন্য সব প্রজাতি থেকে করেছে আলাদা। কেননা ব্যতিক্রমী এ কুকুরটি তার তীব্র ঘ্রাণশক্তি দিয়ে মাটির নিচে পুঁতে রাখা বিস্ফোরক শনাক্তে সহায়তা করে যাচ্ছে ইউক্রেন সেনাদের।

সম্প্রতি ইউক্রেনের ‘জরুরি সেবা’ সংস্থা থেকে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, ছোট একটি স্নিফার কুকুর ঘুরে বেড়াচ্ছে ইউক্রেনীয় সেনাদের সঙ্গে। যেখানেই বিপদের আলামত পাওয়া যাচ্ছে সেখানেই দৌড়ে চলে যাচ্ছে সে। নিজের ঘ্রাণশক্তি দিয়ে মাটি শুঁকে খুঁড়ে বের করে আনছে রুশ বাহিনীর ফেলে যাওয়া বিস্ফোরক দ্রব্যগুলো। সাহায্য করেছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে।

গেল ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর প্রায় দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও অব্যাহত রয়েছে হামলা ও সহিংসতা। এরইমধ্যে রুশ বাহিনীর কাছ থেকে রাজধানী কিয়েভ, মারিউপোলসহ বেশ কিছু অঞ্চল পুনরুদ্ধার করলেও রুশ বাহিনীর ফেলে সামরিক যান ও বিস্ফোরক উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছেন ইউক্রেন সেনারা।

রুশ বাহিনী ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বন্দর নগরী মারিউপোল ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে সেখানেও স্পষ্ট হয়ে উঠছে ধ্বংসের ছাপ। ইউক্রেন সেনাবাহিনী শহরটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে সেখানকার একাধিক ছবি-ভিডিও।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা প্রকাশিত এসব ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, শহরটির কোনো কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। ইউক্রেনের যে অঞ্চলটিতে আবাসিক এলাকা লক্ষ্য করে সবচেয়ে বেশি ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে সেটি এই মারিউপোল।

শুধু আবাসিক এলাকা নয়, রুশ বাহিনীর বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণের হাত থেকে রক্ষা পায়নি নগরীর বিখ্যাত থিয়েটার হলও। রয়টার্স প্রকাশিত এক ছবিতে দেখা যায়, হলটির ভেতরের নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞের বাস্তব চিত্র। গত ১৬ মার্চ দফায় দফায় গোলাবর্ষণের শিকার হয় স্থাপনাটি। থিয়েটার হলটি স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হতো বলে জানা গেছে।

 

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন