চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতের বড় হুমকি ডিপ ফেক প্রযুক্তি

অনলাইন ডেস্ক

২৮ মে, ২০২৩ | ৮:৩২ অপরাহ্ণ

কোনো একজন ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে তার চেহারা ব্যবহার করার প্রযুক্তি হলো ডিপ ফেক। এর ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই ধরনের ব্যবহারই রয়েছে। তবে নেতিবাচক ব্যবহারের কারণে প্রযুক্তি খাতে বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগতে এটি নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। মাইক্রোসফটের প্রেসিডেন্ট ব্র্যাড স্মিথের মতে, এআই খাতে ডিপ ফেক বড় ধরনের হুমকি। খবর রয়টার্স।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে ওয়াশিংটনে এক বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। ওপেন এআইর চ্যাটজিপিটির আগমন এ খাতকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তাই কোন ছবি-ভিডিও আসল আর কোনগুলো নকল বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে তা শনাক্তে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান ব্র্যাড স্মিথ।

তিনি বলেন, ‘‌ডিপ ফেক বা নকল মুখচ্ছবি ব্যবহারের যে বিষয় সে সম্পর্কিত সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে যাচ্ছি। রাশিয়া, চীন ও ইরান সরকার এমন ধরনের যে সাইবার অপরাধ পরিচালনা করছে সে বিষয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এসব বিষয়ে সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘‌এআই ব্যবহারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষদের প্রতারিত করার এ অভিপ্রায় ও বৈধ বিষয়বস্তুর পরিবর্তন রোধে আমাদের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’ ব্র্যাড স্মিথ বলেন, ‘‌রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের নতুন প্রজন্মের নীতিমালা প্রবর্তন করতে হবে। অন্তত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতের মডেলগুলো যেন হাতছাড়া না হয় সেজন্য রপ্তানি নিয়ন্ত্রণে বিবর্তন আনতে হবে। যাতে ক্ষতির উদ্দেশ্যে এসব প্রযুক্তির ব্যবহার না হয়।’

বর্তমানে বড় প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ছোট কোম্পানিগুলোও প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর প্রযুক্তি আনতে কাজ করছে। এসব এআইয়ের ব্যবহার ও কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে কোন ধরনের নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে সে বিষয়ে ওয়াশিংটনের আইনপ্রণেতারা কয়েক সপ্তাহ ধরে চেষ্টাও চালিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

গত সপ্তাহে ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান প্রথমবার কংগ্রেসে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন। সে সময় তিনি সিনেটের একটি প্যানেলকে নির্বাচনে এআইয়ের হস্তক্ষেপকে বড় ধরনের চিন্তার বিষয় বলে জানিয়েছেন। সম্প্রতি দেয়া এক ব্লগপোস্টে স্মিথ এআইয়ের মাধ্যমে কোনো সমস্যা তৈরি হলে একজন মানুষকেই জবাবদিহি করতে হবে বলে জানান। পাশাপাশি এ বিষয়ে নীতিমালা তৈরির জন্য আইনপ্রণেতাদের কাছে আহ্বান জানান।

বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, পানি সরবরাহ লাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর জন্য। এতে মানুষের হাতেই পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে। শক্তিশালী এআই মডেল উন্নয়নকারীদের নো ইওর কাস্টমার স্টাইল সিস্টেম ব্যবহারের আহ্বানও জানান। ফলে এ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভুয়া ভিডিও বা অন্য কোনো কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে সতর্ক থাকা যাবে। তথ্যসূত্র: বণিক বার্তা

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট