চট্টগ্রাম সোমবার, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

চট্টগ্রামে এইডস রোগী : বছরের ব্যবধানে আক্রান্তের হার বেড়েছে ৪৪ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

১ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১২:৩০ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামে ২০২৩ সালে এইচআইভি সংক্রমণে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায় ৫৮ জন। অথচ গত এক বছরেই (নভেম্বর ২৩-অক্টোবর ২৪) একই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪ জন। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে আক্রান্ত রোগীর শনাক্তের হার বেড়েছে সাড়ে ৪৪ শতাংশ।

 

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের এন্টি রিক্টোভাইরাল থেরাপি সেন্টার (এআরটি) থেকে প্রাপ্ত তথ্যে এসব জানা গেছে। সুখবর হচ্ছে-গত বছরের তুলনায় এ বছর মৃত্যুর সংখ্যা অর্ধেকের বেশি কমেছে। ২০২৩ সালে এইডসে ২৭ জনের মৃত্যু হলেও গেল এক বছরে মারা গেছেন ১১ জন।

 

চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রাণঘাতী এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আক্রান্তের মধ্যে অধিকাংশই হচ্ছেন প্রবাসী এবং তাদের স্বজন। প্রবাসে অবস্থানরতদের ঝুঁকিপূর্ণ যৌন সম্পর্ক বিষয়ে যথাযথ জ্ঞান না থাকা এবং বিদেশে যাওয়ার আগে পর্যাপ্ত কাউন্সেলিং না হওয়ার কারণে এ রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়াচ্ছেন তারা।

 

তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসব ব্যক্তিদের মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। চমেক হাসপাতালে অবস্থিত এআরটি’র তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে (নভেম্বর-২৩ থেকে অক্টোবর-২৪) এ সেন্টারটিতে সর্বমোট ৩ হাজার ৮১৭ জনের এইচআইভি পরীক্ষা করা হয়। তারমধ্যে ৮৪ জনের এইডস শনাক্ত হয়। এসব রোগীর মধ্যে ৬১ জন পুরুষ, ২৩ জন নারী।

 

এছাড়া একই সময়ে এইডসে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ৯ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। চিকিৎসকরা বলছেন, চট্টগ্রামের এইচআইভি আক্রান্ত প্রবাসীদের মধ্যে অধিকাংশই হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য ফেরত। যাদের মধ্যে ওমান, দুবাই, আরব আমিরাত প্রবাসীর সংখ্যাই বেশি।

 

প্রবাসীদের অসচেতনতায় তাদের স্ত্রীরাও আক্রান্ত হচ্ছেন এইচআইভি ভাইরাসে। যার কারণে রেহাই পাচ্ছে না শিশুরাও। যারা জন্মসূত্রেই আক্রান্ত হয়েছে এই রোগে।

 

পূর্বকোণ/ইব

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট