চট্টগ্রাম শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

নিয়মিত শসা খেলে কমবে শরীরের চর্বি

নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ জুন, ২০২৪ | ১১:০৭ পূর্বাহ্ণ

চলছে কোরবানির ঈদের মৌসুম। এখন প্রায় সব ঘরেই রয়েছে গরু, ছাগল কিংবা মহিষের মাংস। আবার এমন মানুষও খুব কম পাওয়া যাবে, যিনি মাংস খেতে পছন্দ করেন না। কম বেশি সবাই খাবেন মাংস। কিন্তু মাংস খেতে সুস্বাদু হলেও এতে রয়েছে প্রচুর তেল চর্বি। যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এমন তেল চর্বি থেকে বাঁচতে মাংসের সাথে খাওয়া যেতে পারে শসা। যা অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করে শরীরের চর্বি ও ওজন। এমনটি বলেছেন স্বাস্থ্য সচেতনরা।

 

 

বিশেষজ্ঞদের মতে, শসা শরীরের টক্সিনের মাত্রা কমায়। এতে প্রচুর পরিমাণে পানিসহ ভিটামিন সি এবং কে রয়েছে। যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। সবুজ এই সবজির রয়েছে আরও ৮টি বিশেষ গুণ। শসায় যে পানি থাকে, তা আমাদের দেহের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে অনেকটা অদৃশ্য ঝাড়ুর মতো কাজ করে। নিয়মিত শসা খেলে কিডনিতে সৃষ্ট পাথরও গলে যায়। ভিটামিনের শূন্যতা পূরণ করে। প্রতিদিন আমাদের দেহে যেসব ভিটামিনের দরকার হয়, তার বেশিরভাগই শসার মধ্যে বিদ্যমান। ভিটামিন এ, বি ও সি আমাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ও শক্তি বাড়ায়। সবুজ শাক ও গাজরের সঙ্গে শসা পিষে রস করে খেলে এই তিন ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হবে। হজম ও ওজন কমাতে সহায়ক। শসায় উচ্চমাত্রায় পানি ও নিম্নমাত্রার ক্যালরিযুক্ত উপাদান রয়েছে। ওজন কমাতে আদর্শ টনিক। শসা চিবিয়ে খেলে তা হজমশক্তি বাড়ায়। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

 

 

 

চোখের জ্যোতি বাড়ায় ও চোখের পাতায় জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে। এছাড়া চোখের প্রদাহপ্রতিরোধক উপাদান প্রচুর পরিমাণে থাকায় ছানি পড়া ঠেকাতেও এটি কাজ করে। এরমধ্যে থাকা উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও সিলিকন ত্বকের পরিচর্যায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। খনিজ সিলিকা থাকায় চুল ও নখকে সতেজ ও শক্তিশালী রাখে। এছাড়া শসার সালফার ও সিলিকা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। শরীরে জমা ইউরিক এসিড কমায়। এতে বাতব্যথা কমায়। ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েক স্লাইস শসা খেয়ে নিলে রাতে ঘুম ভালো হয়। ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পর মাথা হালকা লাগে। মাথাধরা থেকে মুক্তি মেলে। ম্যাজম্যাজ করা শরীর ফ্রেস লাগে। এছাড়া শসায় গুরুত্বপূর্ণ তিনটি আয়ুর্বেদিক উপাদান আছে। যা জরায়ু, স্তন ও মূত্রগ্রন্থিসহ বিভিন্ন স্থানে ক্যানসার ঝুঁকি কমায়। এছাড়া ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি দেয়, কোলেস্টরল কমায় ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে শসা।

 

 

তবে অতিরিক্ত শসা খাওয়ার কিছু অপকারিতা রয়েছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অতিরিক্ত পরিমাণে শসা খাওয়ার কারণে দেহে পটাশিয়ামের মাত্রা বাড়তে পারে। এ সমস্যার নাম হল হাইপারক্যালেমিয়া। এই সমস্যায় আক্রান্ত রোগীর পেটে গ্যাস, পেট ব্যথা এবং কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই শসা মেপে খাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। এছাড়া অত্যধিক শসা খেলে প্রস্রাবের মাত্রা বেড়ে যায় এতে দেহে জলের ঘাটতি হয়।

পূর্বকোণ/এসএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট