চট্টগ্রাম রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪

মস্তিষ্কের টিউমারের চিকিৎসা দ্রুত করুন

অনলাইন ডেস্ক

১ জানুয়ারি, ২০২৪ | ৯:০৫ অপরাহ্ণ

টিউমার মানে কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। আর মস্তিষ্কের টিউমার মানে মানুষের মস্তিষ্কের কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। মানুষের মস্তিষ্কের মধ্যে দুই ধরনের টিস্যু থাকে; নিউরন ও তার সাপোর্টিং টিস্যু। মস্তিষ্কের আবরণের নাম ‘মেনিনজেস’। মস্তিষ্কের টিউমার সাধারণত সাপোর্টিং টিস্যু, মেনিনজেস এবং কিছু গ্রন্থি ইত্যাদি থেকে হয়ে থাকে। বয়সভেদে টিউমার বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে; যেমন—শিশুদের কিছু টিউমার বেশি হয়, আবার বড়দের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম।

 

মস্তিষ্কের টিউমারের প্রকারভেদ: সব টিউমার মানেই যে ক্যান্সার তা কিন্তু নয়। এই টিউমার দুই প্রকারের হয়; ম্যালিগন্যান্ট বা ক্যান্সারজাতীয় টিউমার এবং বেনাইন টিউমার, যা তুলনামূলক ভালো। ক্যান্সারজাতীয় টিউমারকে প্রাইমারি টিউমার ও সেকেন্ডারি টিউমার—এই দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

 

মস্তিষ্কের টিউমারের কারণ: মস্তিষ্কের বেশির ভাগ টিউমারের কারণ অজানা। যেসব কারণে এই টিউমারের ঝুঁকি বাড়ে তার মধ্যে বংশগত হচ্ছে নিউরোফাইব্রোমেটোসিস। এ ছাড়া রাসায়নিক পদার্থ ও তেজস্ক্রিয়তার সংস্পর্শে ও এই টিউমার হতে পারে।

 

লক্ষণ: মস্তিষ্কের টিউমারের ক্ষেত্রে লক্ষণ জানা খুব জরুরি। প্রায় সব মস্তিষ্কের টিউমারে কিছু সাধারণ লক্ষণ প্রকাশ পায়। যেমন—
১) শরীরের কোনো দিক দুর্বল হয়ে যাওয়া
২) মাথা ব্যথা
৩) খিঁচুনি
৪) বমি হওয়া (সাধারণত সকাল বেলা হয়)
৫) দৃষ্টির সমস্যা

 

আচরণগত পরিবর্তন: আবার মস্তিষ্কের জায়গাভেদে আরো কিছু লক্ষণ আছে, যেগুলো দেখে চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন মস্তিষ্কের কোথায় টিউমার হয়েছে। শিশুদের ক্ষেত্রে বমি, খিঁচুনির পাশাপাশি মস্তিষ্কের মধ্যে পানি জমে, যাকে হাইড্রোসেফালাস বলে। মস্তিষ্কের টিউমার হলে ভয় না পেয়ে একে সচেতনভাবে মোকাবেলা করতে হবে। এ জন্য লক্ষণ প্রকাশ পেলে দেরি না করে নিউরোসার্জনের বা নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি।

 

চিকিৎসা: মস্তিষ্কের টিউমারের নানা ধরনের চিকিৎসাপদ্ধতি রয়ছে। প্রাথমিক চিকিৎসার মধ্যে প্রথমত স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়। এটা দিলে টিউমারের চারপাশের পানি কমবে এবং ব্রেনের ওপর চাপ কমে যাবে। দ্বিতীয়ত খিঁচুনির জন্য অ্যান্টিকনভালসেন্ট বা খিঁচুনিরোধক ওষুধ ব্যবহার করা হয়। বাচ্চাদের অনেক সময় ভিপি সান্ট করে ব্রেনের জমা পানি পেটের সঙ্গে কানেকশন করে দেওয়া হয়।

 

পরামর্শ দিয়েছেন: অধ্যাপক ডা. মো. শফিকুল ইসলাম, বিভাগীয় প্রধান, নিউরোসার্জারি বিভাগ, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।

 

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট