চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

লিভার কেয়ার সোসাইটি-পূর্বকোণের গোলটেবিল বৈঠক

হেপাটাইটিস নিয়ন্ত্রণে লিভার কেয়ারের ১১ দফা সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ জুলাই, ২০২৩ | ১২:০৪ অপরাহ্ণ

বিশ্বে প্রায় ৩০ কোটি মানুষ হেপাটাইটিস নামক নীরব ঘাতক রোগে আক্রান্ত। প্রতি ১ মিনিটে প্রায় ৫ জন এবং প্রতিদিন প্রায় ৮ হাজার মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হন। মৃত্যুও কম নয়। প্রতিবছর প্রায় ১১ লাখ হেপাটাইটিস রোগী মারা যান। অথচ একটু সচেতন হলেই এড়ানো যায় ভয়ংকর এই ব্যাধি।

 

বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস উপলক্ষে লিভার কেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে এবং দৈনিক পূর্বকোণের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। গত মঙ্গলবার পূর্বকোণ সেন্টারের মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বক্তারা ঘাতক এই ব্যাধি নির্মূলে ১১ দফা সুপারিশ পেশ করেন।

 

লিভার কেয়ার সোসাইটির সভাপতি এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের লিভার রোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সভাপতিত্ব করেন। সাধারণ সম্পাদক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. তারেক শামসের সঞ্চালনা করেন। এতে আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের লিভার বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. আলোক কুমার রাহা, ফেনী ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ফসিউল আলম, চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওসিএস ডা. মো. নওশাদ খান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের গাইনি ও অবস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সোয়েলা শাহনাজ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের হেপাটোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন সাহেদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. ঝুলন বড়ুয়া, চট্টগ্রাম এভার কেয়ার হাসপাতালের গ্যাস্ট্রো এন্টোরোলজি এন্ড হেপাটোলজি বিভাগের এসোসিয়েট কনসালটেন্ট ডা. মুশফিকুল আবরার, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট চৌধুরী ফরিদ ও দৈনিক পূর্বকোণের চিফ রিপোর্টার সাইফুল আলম।

 

বৈঠকে উত্থাপিত সুপারিশগুলো হল হেপাটাইটিস ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুবিধা সহজলভ্য করা, ভর্তুকি দিয়ে হলেও ওষুধের দাম আরও কমানো, প্রাপ্ত বয়স্কদের টিকার আওতায় নিয়ে আসা, পানি, খাদ্যাভ্যাস, অনিরাপদ যৌনতা ও রক্তের মাধ্যমে হেপাটাইটিস বি ছড়ায়, এই সতর্কবার্তা গণমাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করা, রক্ত পরিসঞ্চলনায় যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ করে স্কুল পর্যায়ে প্রচারণা চালানো, পাঠ্য বইয়ে হেপাটাইটিস ভাইরাস প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিষয়ক লেখা অন্তর্ভুক্ত করা, গ্রামের ডাক্তাররা যেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে সেগুলো সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত করা এবং সেলুনে নতুন রেজার বা ব্লেড ব্যবহার নিশ্চিত করা, নিরাপদ পানি পান ও নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তোলার বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা, সচেতনতা বাড়াতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে পারিবারিক পর্যায়ে বা নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে কাজ করা, সরকার, লিভার কেয়ার সোসাইটি, সুশীল সমাজ, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, শিল্পমালিক, শিল্প ব্যবস্থাপনা ও সর্বসাধারণকে নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করা এবং হেপাটাইটিস ভাইরাসের সর্বাধুনিক পরীক্ষা- নিরীক্ষার সুবিধা সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আরও সহজলভ্য করা।

 

পূর্বকোণ/মাহমুদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট