চট্টগ্রাম শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক আদা

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ অক্টোবর, ২০২২ | ১১:১৪ পূর্বাহ্ণ

আদাকে বলা হয় প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক। প্রাচীন চিকিৎসা ব্যবস্থায় আদা ছিল একটি অপরিহার্য উপাদান। এর গুণাগুণের কারণে পরবর্তীতে এটি রান্না করা খাদ্যের তালিকায়ও যুক্ত হয়। এটি শরীরের সব রোগ নিরাময়ের জন্য যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। আদায় রয়েছে পটাশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন এ, বি৬, ই ও সি এবং এন্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট ও এন্টিইনফ্লামেটরি এজেন্ট বিদ্যমান। যার কারণে সব বয়সী মানুষ আদা খেতে পারেন। বিশেষ করে শিশুদের জন্য আদা মধুজল সুস্থ দেহ ও সতেজ মনের জন্য খুবই কার্যকর।

 

যারা আমাশয়, পেটফাঁপা, পেটব্যথার মত সমস্যায় ভুগছেন তারা এক কাপ গরম পানিতে এক চা চামচ আদার রস মিশিয়ে খেলে উপকার পাবে। ফুসফুসের ধমনিতে কোনো সংক্রমণ থাকলে এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হলে অথবা হাঁপানি থাকলে প্রতিদিন দু’বেলা এক চা চামচ আদার রসের সাথে লেবুর রস, মধু এক কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে সুফল মিলবে।

 

প্রতিদিন সামান্য কিছু আদা খেলে কোষ্ঠবদ্ধতা, পেটে গ্যাস ও মলে দুর্গন্ধের মত সমস্যা দূর করে। অস্টিওআর্থ্রাইটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, হাড়ের জয়েন্টের ব্যথাও দূর করে। শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। হৃদরোগের সমস্যা দূর করে। জ্বর জ্বর, বমি বমি ভাব, মাইগ্রেন, সাইনাস, গলা ও মাথাব্যথায় দূর করতে সাহায্য করে।

 

এছাড়াও যাদের আহারে রুচি আসে আদা তাদের ক্ষুধা বাড়ায় ও হজমে সহায়তা করে। আদার রসের সাথে লেবু ও মধু মিশিয়ে খেলে কাশির জন্য বেশ ভালো উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও পাকস্থলী ও লিভারের শক্তি বাড়াতে কাজ করে এটি। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

 

পূর্বকোণ/আর

শেয়ার করুন