চট্টগ্রাম রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

ঋতু বদলে বাড়তে পারে হৃদরোগের ঝুঁকি

অনলাইন ডেস্ক

২৩ মে, ২০২২ | ১১:১৮ অপরাহ্ণ

চিকিৎসকরা লক্ষ্য করেছেন শীতকালে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে শুরু করে। শুধু শীতই নয়, গরমেও হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ বিষয়ে অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, গ্রীষ্মের মাঝে কিছুদিন বৃষ্টি বা ঝড়ে ঠাণ্ডা থাকলেও অধিকাংশ সময় ভয়ংকর গরম পড়ে। এসময় আমাদের কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেম শরীরকে তাপমাত্রার সাথে সামঞ্জস্য বজায় রাখার জন্যেই তার কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এতে আমাদের রক্তবাহী নালিকাগুলো প্রসারিত হয়ে আর্টারিয়াল প্রেশার হ্রাস করে।

অন্যদিকে শীতকালে ঠাণ্ডায় এই নালিকাগুলো সংকুচিত হয়ে পড়ে। অর্থাৎ দুটো ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি আলাদা। তাই সতর্কতাও আলাদা হওয়া জরুরি। গরমের সময় আমাদের হৃদপিণ্ডকে অন্যান্য সময় থেকে ২ থেকে ৪ গুণ বেশি রক্ত প্রবাহিত করতে হয়। যদি দেহের রক্ত ঠিকঠাক ঠাণ্ডা না হয় তাহলেই হিটস্ট্রোকের মতো সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় তা ভয়ংকর সমস্যাও হয়ে দাঁড়ায়।

গরমে হৃদরোগের সমস্যাগুলো কি: যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্যে গরম একটি ভয়ংকর সময়। এমনকি তাদের হৃদযন্ত্রের জন্যেও ডায়াবেটিস ভালো কিছু না। হাই-ব্লাড প্রেশার, ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন কোলেস্টেরল লেভেল যাদের আছে তাদের এ সময় ক্ষতির আশঙ্কা থাকে বেশি। তবে গরমে হার্ট ফেইলারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় কিডনির কার্যক্ষমতা নষ্ট হওয়া। এছাড়াও ডায়াবেটিস মেলিটাস, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ঘুম না হওয়া এসকল বাজে সমস্যা গরমে ভোগায় হৃদরোগীদের।

কিভাবে শনাক্ত করবেন: চিকিৎসকরা অবশ্য বলেন গরমে হৃদরোগের লক্ষণ ব্যক্তি-বিশেষে আলাদা। কিন্তু কিছু কিছু লক্ষণ আছে যা হৃদরোগের চিহ্ন হিসেবে কাজ করে। যেমন- বুক ভারি হয়ে যাওয়া এবং ব্যথা করা, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, শরীরে জোরে ঘাম ছোটা এবং বুকে ধকধক শব্দ হওয়া, পা ফুলে যাওয়া, মাথা ঘোরানো, চোয়াল ও হাতে ব্যথা, গ্যাসের বড়ি খাওয়ার পরেও গ্যাসের সমস্যা না যাওয়া, হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।

গরমে হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে যে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করবেন: সবসময় মোটামুটি ঠাণ্ডা বা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত স্থানে থাকার চেষ্টা করবেন। ব্যায়ামের ক্ষেত্রে একটু শিথিল হয়ে করুন। এমনিতেই আপনার হৃদপিণ্ড গরমে বেশি কাজ করে।

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন