চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫

সর্বশেষ:

পোশাকখাতে বড় ধাক্কার আশঙ্কা

পূর্বকোণ ডেস্ক

৫ এপ্রিল, ২০২৫ | ১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ

এতদিন বাংলাদেশের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কহার ছিল গড়ে ১৫ শতাংশ, তা এখন দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে গেল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের শতাধিক দেশের পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের যে ঘোষণা দিয়েছেন, তাতে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় ৩৭ শতাংশ সম্পূরক শুল্কের মুখোমুখি হবে।

 

নতুন করে সম্পূরক শুল্ক আরোপের ফলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত বড় ধাক্কা খেতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৮৪০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে, যার মধ্যে তৈরি পোশাকের পারিমাণ ৭৩৪ কোটি ডলার।

 

বাংলাদেশ সময় বুধবার রাত ২টার পর হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন সম্পূরক শুল্কহার ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এই দিনকে তিনি বর্ণনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের ‘অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দিবস’ হিসেবে। তার ভাষায়, যুক্তরাষ্ট্র এই দিনের জন্য অপেক্ষা করছে দীর্ঘ দিন ধরে।

 

হোয়াইট হাউসের প্রকাশিত তালিকায় বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ মার্কিন পণ্যের ওপর ৭৪ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করে। এর প্রতিক্রিয়ায় এখন থেকে বাংলাদেশি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে ৩৭ শতাংশ ‘হ্রাসকৃত সম্পূরক শুল্ক’ আরোপ করা হবে। ভারতের পণ্যের ওপর ২৬ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প, যা বাংলাদেশ বা ভিয়েতনামের মত প্রতিযোগী দেশের তুলনায় কম। ভিয়েতনামের পণ্যের ওপর ৪৬ শতাংশ শুল্কের ঘোষণা এসেছে। কম্বোডিয়ার পণ্যে ৪৯ শতাংশ, শ্রীলঙ্কার পণ্যে ৪৪ শতাংশ, পাকিস্তানের পণ্যে ২৯ শতাংশ এবং মিয়ানমারের পণ্যে ৪৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

 

রয়টার্স লিখেছে, এর ফলে ভারতের পোশাক পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তুলনামূলক বেশি সুবিধা পাবে। চীনা পণ্যে ৩৪ শতাংশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা বলা হয়েছে হোয়াইট হাউজের তালিকায়।

 

ট্রাম্প প্রশাসনের ভাষ্য, মার্কিন রপ্তানি পণ্যের ক্ষেত্রে যেসব দেশ উচ্চ শুল্কের বাধা তুলে রেখেছে, তাদের তথাকথিত সেই ‘অন্যায্য বাণিজ্য অনুশীলন’ মোকাবিলা করার উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন পদক্ষেপ।

 

নতুন নীতির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র সমস্ত আমদানির ওপর প্রাথমিকভাবে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে, যাকে বলা হচ্ছে বেইজ লাইন ট্যারিফ। আর যেসব দেশ হোয়াইট হাউসের ভাষায় ‘কারসাজি’ করে ডলারের মান নিয়ন্ত্রণে রেখেছে এবং সুরক্ষামূলক শুল্ক ও অশুল্ক বাধা আরোপ করে রেখেছে, তাদের ক্ষেত্রে উচ্চ হারের সম্পূরক শুল্ক প্রযোজ্য হবে।

 

হোয়াইট হাউস নতুন এই শুল্ক কাঠামোকে ‘দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সংশোধনী’ হিসেবে উপস্থাপন করেছে, যা তাদের মতে, দশকের পর দশক ধরে চলে আসা ‘একতরফা বাণিজ্য সম্পর্ককে ঠিক করার জন্য’ প্রয়োজনীয়। তবে অর্থনীতিবিদরা ট্রাম্পের এই নীতির সমালোচনা করে বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণার পাল্টায় অন্য দেশগুলোও নতুন করে ব্যবস্থা নেবে, তাতে নতুন করে একটি বাণিজ্য যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি করবে। বিশ্ব অর্থনীতির নাজুক দশার মধ্যে নতুন চাপ তৈরি করবে ট্রাম্পের শুল্ক।

 

সরকারের উচিত দ্রুত দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসা

মোহাম্মদ হাতেম
সভাপতি, বিকেএমইএ

 

বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপে দেশের পোশাকখাত বড় রকমের ঝুঁকির মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র যখন অন্যান্য দেশের ওপর শুল্কারোপ করছিল, তখন ভেবেছিলাম বাংলাদেশ শুল্কের বাইরে থাকলে রপ্তানি খাতে বড় সুবিধা নিতে পারবে। কিন্তু এখন বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্কারোপ করায় এই সুবিধা আর কাজে লাগানো গেল না।

 

চীন, ভারত, পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশের ওপর বেশি শুল্কারোপ করা মূলত ট্রাম্প প্রশাসনের পাল্টা শুল্কনীতি। চীন, ভারত, পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য রপ্তানিতে বেশি শুল্ক দিতে হয়। সে হিসাবে ৫০ শতাংশ পাল্টা শুল্কারোপের মুখে পড়েছে বাংলাদেশ। এতে করে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান নাজুক হয়ে পড়েছে।

 

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র পণ্য রপ্তানিতে ৭৪% শুল্ক দেয়। যেহেতু বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বড় আকারে আমদানি করে না; তাই চাইলেই এ শুল্ক কমিয়ে আরোপিত শুল্ক সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে পারে। এক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার বিকল্প নেই।

 

এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর এ ধরনের শুল্ক বাংলাদেশকে আরও ভোগাবে। যত দ্রæত সম্ভব সরকারের উচিত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসা। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সুতা এনে পোশাক তৈরি করে, সেই পোশাকের বড় অংশই যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করে বাংলাদেশ। এখানে দুই দেশের স্বার্থই জড়িত। এসব স্বার্থের ব্যাপারে সমঝোতা করলে যে ট্যারিফ বাংলাদেশের ওপর আরোপ করা হয়েছে, তা আবার তুলেও নিতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন।

 

ডিউটির চ্যালেঞ্জকে সুযোগে রূপান্তরে পথ বের করতে হবে

এম এ সালাম
প্রাক্তন প্রথম সহ-সভাপতি, বিজিএমইএ

 

ট্রাম্প প্রশাসন ইন্টারন্যাশনালি যে ডিউটি ট্যারিফ দিয়েছে তাতে বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টরে একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। শুধু গার্মেন্টস সেক্টরই না বাংলাদেশ থেকে আমেরিকাতে যত ধরনের পণ্য রপ্তানি হয় তার সকল ক্ষেত্রেই এই চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে।

 

আমেরিকায় বর্তমানে যে ডিউটি কার্যকর আছে তার সাথে আরো অতিরিক্ত ৩৭ শতাংশ ডিউটি যুক্ত হবে। ফলে অবশ্যই সেই দেশে পণ্যের দাম বেড়ে যাবে এবং বিক্রিও কমে যাবে। যেহেতু বিভিন্ন দেশের জন্য ভিন্ন ভিন্ন হারে ডিউটি আরোপ করা হয়েছে তাই কোন কোন দেশ লাভবান হবে আবার কোন কোন দেশের জন্য চ্যালেঞ্জ আরো বেড়ে যাবে। যেমন বাংলাদেশের ডিউটি বাড়লেও বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশ চায়না, ভিয়েতনাম ও শ্রীলঙ্কার জন্য এই চ্যালেঞ্জ আরো বেশি। এসব দেশের কিছু ক্রয়াদেশ হয়তো বাংলাদেশের দিকে আসবে।

 

আবার ভারত, ইন্দোনেশিয়ায় কিন্তু ডিউটি ট্যারিফ কম বেড়েছে। ফলে তারা কিছু সুবিধা পাবে। ভারত এমনিতেই টেক্সটাইল খাতে আমাদের চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছে। তারা তৈরি পোশাক খাতেও বিনিয়োগ বাড়িয়ে ব্যবসা বাড়ানোর পরিকল্পনায় ছিল। এখন তাদের জন্য সেই সুযোগ আরো বেড়ে গেল। বাংলাদেশ থেকেও ব্যবসা ভারতের দিকে যাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।

 

বর্তমানে তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশ থেকে যে রপ্তানি হয় তা প্রধানত আমেরিকার মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের জন্য। এখন ডিউটির কারণে যখন আমেরিকায় পণ্যের দাম বেড়ে যাবে তখন ওই শ্রেণির মানুষের জন্য চাপ বাড়বে। তারা হয়তো পোশাক পণ্য ক্রয় কমিয়ে দেবে। পাশাপাশি এই ৩৭ শতাংশ ডিউটির চাপ আমেরিকান বায়াররা চাইবে বাংলাদেশের কারখানার ওপর চাপিয়ে দিতে। আমরা বরাবরই নেগোশিয়েট বা দর কষাকষিতে পিছিয়ে আছি। এখন এই চাপ কতটুকু আলোচনার মাধ্যমে একটা মধ্যস্থতা করা যায় সেটাও একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে থাকবে।

 

এখন আমাদের যেটা করতে হবে সেটা হলো যেসব দেশ যেমন চায়না, ভিয়েতনাম ও শ্রীলঙ্কার অর্ডার বাংলাদেশে আনার জন্য বায়ারদের সাথে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি সরকারকে কূটনৈতিক দক্ষতার মাধ্যমে সরকার টু সরকার দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে এই ডিউটিকে কমানো যায় কিনা তার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

 

ইতিমধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ও প্রেস সেক্রেটারি এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। তারা বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করছেন। আমাদের গার্মেন্টস সেক্টরের সংশ্লিষ্টরাও এটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং এই খাতে টিকে থাকার উপায় খোঁজা শুরু করে দিয়েছে। এখন আমাদের রপ্তানির তুলনায় আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে খুব কম পণ্যই আমদানি হয়। তাই আমেরিকাকে উৎসাহী করতে কিছু আমেরিকান পণ্য আমদানি বাড়ানো যেতে পারে, যা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।

 

যেমন সম্প্রতি এলএনজি আমদানির বিষয়ে আমেরিকার সাথে সরকারি একটি চুক্তিও হয়েছে। এর মাধ্যমে হয়তো আমরাও গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানিতে কিছুটা সুবিধা কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে নিতে পারবো। এক্ষেত্রে দেখতে হবে যাতে এমন পণ্য আমদানি হয় যা আমাদের প্রয়োজন এবং এটি বাজারে দামও না বাড়ায়।

 

একইভাবে আমাদের অনেক মেশিনারিজ আমদানি করতে হয়। আমরা যদি আমেরিকা থেকে মেশিনারিজ পণ্য আমদানি করি এবং তার বিনিময়ে যদি গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি বাড়াতে পারি ও আলোচনা করে ডিউটি কমাতে পারি তাহলেও আমরা লাভবান হওয়ার একটু সুযোগ থাকবে। আলোচনার বিষয়টি বার বার আসছে কারণ ট্রাম্প প্রশাসনই বলেছে এই ডিউটি নেগোশিয়েটএবল।

 

এসবের পাশাপাশি আমাদের বুঝাতে হবে আমরা এসডিজি অর্জনে চেষ্টা করে যাচ্ছি তাই এখনই আমাদের ওপর ডিউটির বোঝা চাপানো ঠিক হবে না। আবার আমাদেরও এটাও বুঝাতে হবে আমরা পোশাক খাতে অনেক উন্নত। আমরা বাংলাদেশের একটি বিশাল অংশের মহিলাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি সেটা বুঝানো যেতে পারে। এসব সুযোগ আমাদের কাজে লাগাতে হবে।

 

আমেরিকা থেকে আমরা এনার্জি খাতে সহায়তা নিতে পারি। তাদেরকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহী করে সুযোগ দিতে পারি। তাহলে হয়তো আমরা এই ডিউটির বোঝা অনেকাংশেই কাটিয়ে উঠতে পারবো। এখনই সব স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে বৈঠক করে এই চ্যালেঞ্জকে কিভাবে অপরচুনিটিতে রূপান্তর করা যায় তা নিয়ে সরকারকে এখনি পদক্ষেপ নিতে হবে। আরএমজি সেক্টর একা এটি সামাল দিতে পারবে না। যেহেতু সরকার টু সরকার আলোচনার মাধ্যমে ডিউটি কমানোর সুযোগ রয়েছে। তাই বাংলাদেশ সরকারকেই বড় ভূমিকা রাখতে হবে।

 

শুল্কহার পুনঃনির্ধারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা করতে হবে

এরশাদ উল্লাহ
প্রাক্তন প্রথম সহ-সভাপতি, বিজিএমইএ

 

শুল্ক আরোপের যে কাঠামো দেখা যাচ্ছে তাতে বাংলাদেশের প্রতিযোগী অন্য দেশ; যেমন তুরস্ক, ভারত, পাকিস্তান তুলনামূলক সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। কারণ বাংলাদেশের চেয়ে তাদের পণ্যে কম শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এর ফলে আমরা এখন মার্কিন বায়ারদের কাছে পণ্যের মূল্য নিয়ে চাপের সম্মুখীন হব। বাংলাদেশি পণ্যের দাম কমে যাবে।

 

প্রতিযোগিতা আরো তীব্র হবে; যা পরবর্তীকালে এই শিল্পকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। যে হারে শুল্ক বেড়েছে, তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা আমাদের একার পক্ষে সম্ভব নয়। উদ্যোক্তা, সরকার, ক্রেতা এবং আন্তর্জাতিক শ্রমসংগঠনগুলো মিলে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এজন্য শুল্কহার পুনঃনির্ধারণের উপায় নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে খুব দ্রুত আলোচনা করতে হবে।

 

আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের জন্য ৭০ শতাংশ কটনবেজ প্রোডাক্ট তৈরি করি। সেগুলো তো রাতারাতি সরিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। শঙ্কার জায়গা হলো, ভারত ও পাকিস্তানে শুল্ক আমাদের চেয়ে কম বেড়েছে। কটনবেজ প্রোডাক্টগুলো তারাও তৈরি করে। আবার এই পণ্যের কাঁচামালও ওদের কাছ থেকে আসে। ফলে ওরা ভালো করবে। আমরা যদি অভ্যন্তরীণ খরচ কমাতে পারি, তাহলে সক্ষমতা বাড়বে। সবকিছু মিলিয়ে সামনে আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।

 

পূর্বকোণ/ইব

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট