চট্টগ্রাম রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

লিটারে ৩ টাকা কমল পাম তেলের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ মার্চ, ২০২২ | ৭:২০ অপরাহ্ণ

ভ্যাট প্রত্যাহারের কারণে সয়াবিন তেলের দাম কমানোর পর এবার পাম তেলের দামও লিটারে ৩ টাকা কমানো হল।

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে পাম তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্তের কথা জানান বাংলাদেশ ভেজিটাবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।

সংগঠনের সচিব নুরুল ইসলাম মোল্লা স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত মূল্যতালিকা অনুযায়ী এতদিন পাম তেলের লিটারপ্রতি খুচরা মূল্য ছিল ১৩৩ টাকা, সেটা ২২ মার্চ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হবে।

এর আগে গত রবিবার মিল মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বোতলজাত সয়াবিন তেলের খুচরা মূল্য প্রতি লিটার ১৬৮ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬০ টাকা নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পাঁচ লিটারের বোতলের দাম নির্ধারণ করা হয় ৭৬০ টাকা, যা এতদিন ৭৯৫ টাকা ছিল।

আর খোলা সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয় প্রতি লিটার ১৩৬ টাকা, যা এতদিন ১৪৩ টাকা নির্ধারিত ছিল।

ওই বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান, নতুন এই মূল্য আগামী ঈদুল ফিতর পর্যন্ত বহাল থাকবে। ‘দুয়েক দিনের মধ্যে’ পাম তেলের দামও ঠিক করে দেওয়া হবে।

“পাম তেলের বিষয়ে আমাদের আরও কিছু তথ্য ও হিসাব নিকাশের বিষয় আছে। এই তেল ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে আসে। আসতে সময় কম লাগে। আন্তর্জাতিক বাজারে বর্ধিত যে দাম, সেই দামে অনেক তেল বাংলাদেশে চলে এসেছে। সেটা কীভাবে অ্যাডজাস্ট করা যায়, সে ব্যাপারে আমাদের রিফাইনারি সমিতির প্রতিনিধিরা সময় নিয়েছেন। আমরা ২২ তারিখে এটা ঠিক করব।”

এরপর ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে পাম তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত জানানো হল।

বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে থাকায় গত কিছুদিন ধরেই হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এর মধ্যেই আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার দোহাই দিয়ে মার্চের শুরু থেকে তেলের আরও দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা।

পাশাপাশি বাজারে সরবরাহ সংকটও তৈরি করা হয়। আড়তদার ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা মিল গেইট থেকে তেল দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ ওঠে। সরকার নির্ধারিত আগের দামের চেয়ে লিটারে ২৫ থেকে ৩০ পর্যন্ত বেড়ে যায় সয়াবিন তেলের দাম।

এ পরিস্থিতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণে তৎপর হয় সরকার, মিলে অভিযান চালানোর পাশাপাশি মজুদের জন্য জরিমানা করা হয় ব্যবসায়ীদের। পাশাপাশি রোজার আগে বাজার পরিস্থিতি সামলাতে তেল, চিনির মত নিত্যপণ্য আমদানিতে ভ্যাট কমানোর নির্দেশ দেয় মন্ত্রিসভা।

ভোজ্যতেলের ওপর তিন স্তরে মোট ৩৫ শতাংশ ভ্যাট ছিল। সরকারের সিদ্ধান্তে খুচরা পর্যায়ের ৫ শতাংশ ভ্যাট, উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়। পাশাপাশি আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান ১৫ শতাংশ ভ্যাট থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়।

তবে সরকারের এসব উদ্যোগে বাজারে এর প্রভাব পড়েছে সামান্য। লিটার প্রতি খোলা সয়াবিন তেল এখনও ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কোথাও কোথাও। খবর বিডিনিউজের।

 

পূর্বকোণ/মামুন/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট