চট্টগ্রাম শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

বন্দরের মোবাইল স্ক্যানার দিয়েই রপ্তানি পণ্য স্ক্যান করার সিদ্ধান্ত

সারোয়ার আহমদ 

১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ | ১১:৩২ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত পণ্যের কনটেইনার স্ক্যানার দিয়ে স্ক্যান হয়ে বের হলেও এতোদিন রপ্তানি পণ্যের কনটেইনার স্ক্যান করা ছাড়াই জাহাজীকরণ করা হতো। তবে এখন থেকে রপ্তানি পণ্যের কনটেইনারও স্ক্যান করে জাহাজীকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এ কাজে চট্টগ্রাম বন্দরে থাকা দুটি মোবাইল স্ক্যানারকে ব্যবহারের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বন্দরের দুটি মোবাইল স্ক্যানার জিসিবি-২ এবং সিসিটি-২ নম্বর গেটে রাখা আছে। এরমধ্যে সিসিটি-২ নম্বর গেটের স্ক্যানারটি ওই গেটেই রপ্তানি পণ্যের কনটেইনার স্ক্যান করার কাজে ব্যবহার করা হবে। অন্যদিকে জিসিবি-২ নম্বর গেটের স্ক্যানারটি সিপিএআর (চট্টগ্রাম পোর্ট এক্সেস কন্ট্রোল রোড) গেটের বাইরে প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে, যা এই গেট দিয়ে প্রবেশ করা রপ্তনি পণ্যের কনটেইনার স্ক্যান করার জন্য ব্যবহার করা হবে। মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ডের একটি প্রতিনিধি দল আইএসপিএস কোডের অগ্রগতি পরিদর্শন করতে চট্টগ্রাম বন্দরে আসার কথা ছিল চলতি ফেব্রুয়ারি মাসেই। আর আইএসপিএস কোড অনুযায়ী আমদানির পাশপাশি রপ্তানি পণ্যের কনটেইনারও স্ক্যান করেই জাহাজীকরণ করা বাধ্যতামূলক। তাই আইএসপিএস কোড মানতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক পূর্বকোণকে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ৪টি ফিক্সড কনটেইনার স্ক্যানার মেশিন স্থাপনের কাজ করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। তবে ওই স্ক্যানারগুলো আসতে আরো সময় লাগতে পারে। এদিকে তার আগেই মার্কিন কোস্ট গার্ডের টিম চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনে আসার কথা রয়েছে। তাদের সুপারিশ ছিল জাহাজীকরণের আগে সব রপ্তানি পণ্য স্ক্যান করার। তাই মোবাইল স্ক্যানারগুলোকে সাময়িকভাবে রপ্তানি পণ্যের কনটেইনার স্ক্যান করার কাজে ব্যবহার করা হবে। তবে এনবিআর নতুন ৪টি ফিক্সড কনটেইনার স্ক্যানার মেশিন বসানোর কাজ দ্রুত শেষ করলে বন্দরকে এ কাজে বেগ পোহাতে হবে না।

প্রসঙ্গত, রপ্তানি পণ্যের কনটেইনার স্ক্যান করে জাহাজীকরণের জন্য ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সাথে বৈঠক করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ওই বৈঠকে বেসরকারি কনটেইনার ডিপোগুলোকে সিপিএআর গেটের সামনে অস্থায়ী অফিস বসানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই অফিস থেকেই রপ্তানি পণ্য স্ক্যান করে বন্দর জেটিতে যাবে। এরপর জাহাজে তুলে জাহাজীকরণ হয়ে বিদেশের গন্তব্যে যাবে।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ চট্টগ্রাম বন্দরের জেনারেল কার্গো বার্থের (জিসিবি) ১ নম্বর গেটে এবং নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) ৩ নম্বর গেটে বসানো হয়েছিল দুটি ‘এফএস-৬০০০’ সিরিজের অত্যাধুনিক ফিক্সড কনটেইনার স্ক্যানার মেশিন। এছাড়াও বন্দরে চট্টগ্রাম কনটেইনার টার্মিনালের (সিসিটি) ২, ৪ ও ৫ নম্বর গেটে একটি করে ফিক্সড কনটেইনার স্ক্যানার (এফএস-৩০০০ সিরিজ) এবং সিসিটি ২ ও জিসিবি ২ নম্বর গেটে রয়েছে মোবাইল স্ক্যানার। সব মিলিয়ে বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে রয়েছে ৫টি ফিক্সড এবং ২টি মোবাইল স্ক্যানার। এই ৭টির মধ্যে আবার দুইটি স্ক্যানার পুরনো হওয়ায় মাঝে মধ্যে সচল থাকে না বলে চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে। চট্টগ্রাম বন্দরে ১৪টি গেট রয়েছে, যার মধ্যে ১২টি গেট দিয়ে পণ্য আনা নেওয়া হয়। এতোদিন ৭টি গেট দিয়ে আমদানি পণ্যের কনটেইনার স্ক্যান করা হতো। তবে এখন হবে ৫টি দিয়ে। বাকি দুটি মোবাইল স্ক্যানার ব্যবহার হবে রপ্তানি পণ্যের কনটেইনার স্ক্যান কাজে। ফলে গেটের সংখ্যা অনুযায়ী অপ্রতুল রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের স্ক্যানারের সংখ্যা।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট