চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিফান্ড পাবেন করদাতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

১ নভেম্বর, ২০২১ | ১০:২৪ অপরাহ্ণ

আগামী অর্থবছর থেকে করদাতারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিফান্ড পাবেন। অর্থাৎ কোনো করদাতা অতিরিক্ত কর পরিশোধ করলে অতিরিক্ত অংশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার ব্যাংক হিসাবে জমা হবে। অন্যদিকে, উৎসে কর কর্তন আরও সুনির্দিষ্ট করা হচ্ছে। কমানো হচ্ছে মাঠ পর্যায়ের কর কর্মকর্তাদের ক্ষমতাও।

রবিবার (৩১ অক্টোবর) আয়কর আইন-২০২২-এর খসড়া প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। রাজধানীর সেগুন বাগিচায় এনবিআর কার্যালয়ে প্রস্তাবিত আয়কর আইনের বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি। এ সময় এনবিআরের সদস্য (আয়কর নীতি) মো. আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

বর্তমানে আয়কর অধ্যাদেশ-১৯৮৪-এর মাধ্যমে আয়করের বিধিবিধান ঠিক করা হয়। অধ্যাদেশটি প্রধানত ১৯২২ সালের আয়কর আইনের ধারাবাহিকতা। দেশে আয়কর আইনের বিধিবিধান ১০০ বছরের পুরোনো। এ সময়ের মধ্যে দেশের আর্থ-সামাজিক কাঠামো ও ব্যবসা-বাণিজ্যে পরিবর্তন এসেছে।

আবার সরকার সব আইন বাংলা ভাষায় প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে বাংলা ভাষায় নতুন আয়কর আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে আইনের খসড়া তৈরি করেছে এনবিআর। এখন বিভিন্ন পক্ষের মতামত নিয়ে খসড়া অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।

খসড়া আইন সম্পর্কে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, অনেক দেরি হয়ে গেছে। আরও আগে আইনটি করা দরকার ছিল। আয়কর আইনের অনেক জায়গায় স্বাভাবিকভাবেই পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, আইনের একটি ধারায় অনেক উপধারা, আবার উপধারারও সেকশন দিয়ে যে এতদিন যেভাবে চলছে, তা সহজ করার চেষ্টা করা হয়েছে। অনেক বিষয় আইনের বাইরে রেখে বিধিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যখন কার্যকর হবে, তখন আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা সন্নিবেশিত আইন হবে। নতুন আইনের ফলে অস্পষ্টতা দূর হবে। কর আহরণ সহজ হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বর্তমান আইনে অডিট নির্বাচন ও অডিট কার্যক্রম পরিচালনায় সুনির্দিষ্ট কোনো কর্মপদ্ধতি নেই। প্রস্তাবিত আইনে এ বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে। এতে অডিট-সংক্রান্ত স্বচ্ছতা নিশ্চিত এবং ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হবে। খসড়া আইনে ই-কর ব্যবস্থাপনার বিধান প্রস্তাব করা হয়েছে। অনিবাসী কোনো সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে সুদ বাবদ অর্থ পাঠাতে হলে সুনির্দিষ্ট নিয়মের মধ্য দিয়ে পাঠাতে হবে।

এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ ট্রান্সফার প্রাইসিং ও কর এড়ানো প্রতিরোধের বিধানাবলি যুক্ত করা হয়েছে। উৎসে কর কাটা ও সংগ্রহের নিয়ম আরও স্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। এতে নিবাসী ও অনিবাসীদের থেকে উৎসে কর কাটা ও সংগ্রহে কোনো অস্পষ্টতা থাকবে না। আইনে লোকসান সমন্বয় ও জের টানার নিয়ম অত্যন্ত সহজ করা হয়েছে।

আগে যেসব অনুমিত আয় এসআরওর মাধ্যমে হিসাব করা হতো, প্রস্তাবিত আইনে সেগুলো মূল আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ব্যবসায়িক খরচ অনুমোদনের আইনের বিধান আরও সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও অনেক নতুন বিষয় রয়েছে, যা ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক কর প্রশাসন নিশ্চিত করবে। খবর সমকালের।

পূর্বকোণ/মামুন/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট