চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

রিক্রুটিং এজেন্সির গাফিলতিতে কুয়েতের ভিসা বাতিল হল ১৩ বাংলাদেশির

কুয়েত সংবাদদাতা

২৪ জুন, ২০২৩ | ৮:১৮ অপরাহ্ণ

রিক্রুটিং এজেন্সির গাফিলতিতে কুয়েত এয়ারপোর্ট থেকে ১৩ জন নতুন ভিসাধারী বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে কুয়েত সিভিল এভিয়েশন। আজ শনিবার (২৪ জুন) রাতের ফ্লাইটে তাদেরকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর কথা রয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) ঢাকার বনানী অরবিট রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কুয়েতের আল ফয়সাল নামে একটি কোম্পানির ভিসায় কুয়েতে আসেন তারা।

 

এয়ারপোর্টে আসার পরে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে জানতে পারেন তাদের ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে কুয়েত এয়ারপোর্টে প্রবেশ করার ঘণ্টাখানেক আগেই। কুয়েতে ইস্যু হওয়া নতুন ভিসার মেয়াদ থাকে ৩ মাস এই সময়ের মধ্যে ভিসাধারীকে প্রবেশ করতে হয়। প্রবেশ না করলে ভিসা বাতিল হয়ে যায়।আসার পর থেকে কুয়েত বিমানবন্দরের হোটেলে ছিল তারা।

 

বাংলাদেশ থেকে ২২ জুন সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কুয়েতের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ঐ বিমানে ১৩ যাত্রী ছিল। রিক্রুটিং এজেন্সি তাদের বিএমইটি কার্ড না দেওয়াতে ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স পায়নি এই যুবকরা। অনেকক্ষণ পরে এজেন্সির লোকেরা বিএমইটি কার্ড নিয়ে আসে। এদিকে তাদের জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে বাংলাদেশ থেকে দেরিতে ছেড়ে যেতে হয়। ফলে কুয়েতে পৌঁছাতে দেরি হয় বিমানের।

 

ফ্লাইট থেকে যাত্রীরা ইমিগ্রেশন পর্যন্ত পৌঁছাতে রাত ১২টা পেরিয়ে গেলে তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়, যার কারণে কুয়েত বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ ১৩ জন বাংলাদেশিকে কুয়েত প্রবেশ করতে দেয়নি।

উন্নত জীবন ও পরিবারের আর্থিক সচ্ছ্লতা ফিরাতে ৭ লাখ থেকে ৮ লাখ টাকায় ভিসা কিনে দেশে ফেরত যেতে হচ্ছে তাদের।

 

যাত্রীদের অভিযোগ তাদের ভিসার মেয়াদ যেদিন শেষ হবে ঠিক সেদিন রাতের ফ্লাইটে তাদেরকে কুয়েতে পাঠানো হয়েছে। এর দায় সম্পূর্ণ রিক্রুটিং এজেন্সিকে নিতে হবে। তাদের গাফলতির কারণে কুয়েতে প্রবেশ করতে পারেনি ভুক্তভোগীরা

 

তারা বলেন, মাত্র ৬ ঘণ্টার ব্যবধানে আমাদের বিমানের টিকেট করে দেয় রিক্রুটিং এজেন্সি। এজেন্সি থেকে আমাদের এই ক্ষতিপূরণ অবশ্যই বহন করতে হবে।

 

ভুক্তভোগী আজিজুল মিয়া বলেন, ১৯ তারিখ আমার ফ্লাইট হওয়ার কথা ছিল, সেই অনুযায়ী আমাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। ৪ দিন আমি ঢাকায় থাকার পর ২২ তারিখ ফ্লাইট দিয়েছে। এজেন্সি থেকে ঐদিন আমাকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় টিকেট দেয়, সেখান থেকে দ্রুত মোটরসাইকেলে বিমানবন্দরে পৌঁছায়। আমাকে ইমিগ্রেশন কার্ড দেওয়ার কথা এজেন্সি থেকে সেটা তারা করে নাই। যার কারণে বাংলাদেশ এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশন পুলিশ আমাকে আটকে দেয়। পরে এজেন্সি থেকে কার্ড দিয়ে যায়, যার কারণে ফ্লাইট ১ ঘণ্টা আমাদের জন্য পিছিয়ে যায়। কুয়েতে বিমান থেকে নামতে রাত ১২টার বেশি হয়ে যায়। যার কারণে সেটা ২২ তারিখ থেকে ২৩ তারিখ হয়ে যাওয়ায় আমাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। ফলে কুয়েত ইমিগ্রেশন পুলিশ আমাদের আটক করে রাখে।

 

বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েতের মিনিস্টার (শ্রম) আবুল হোসেন জানান, খবরটি জানার পর দূতাবাসের পক্ষ থেকে কোম্পানির মালিকের সাথে যোগাযোগ করা হয়। মালিক নিজে গিয়ে চেষ্টা করলে তাদের হয়তো কুয়েতে প্রবেশ করানো সম্ভব হবে। সম্পূর্ণ ব্যাপারটা এখন মালিকের উপরে। আমাদের কাজ হচ্ছে কুয়েত প্রবেশের পর।

 

পূর্বকোণ/সাদেক/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট